মানুষ এই বিশ্বের সৃস্টি সম্পর্কে বড় আকারে জেনেছেন বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট প্রকাশিত হওয়ার পর: সৃস্টিকর্তা পৃথিবী সৃস্টি করেছেন, পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য চাঁদ, সুরুষ ও তারকাদের সৃস্টি করা হয়েছে; তারা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আলোকিত করবে; পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করার জন্য আলো-বাতাস, গাছ, ফুল পাখী, শস্য, প্রাণী সবই সৃস্টি করা হয়েছে। এইগুলো ওল্ড টেস্টামেন্টেও বলা হয়েছিল; কিন্তু প্রাচীন বিশ্বে, ওল্ড টেস্টামেন্ট মিডলইস্ট এলাকা ছেড়ে বেশীদুর যাবার যাবার সুযোগ পায়নি।
ওল্ড টাস্টামেন্টের বক্তব্য গ্রীকেরা জানতেন, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে তাদের যোগাযোগ ছিলো ; তারা এই ধর্মীয় ধারণার বাহিরেও পৃথিবী ও বিশ্ব সম্পর্কে গবেষণা করছিলেন; খ্রিস্টের জন্মের ২৩০ বছর পুর্বে গ্রীক দার্শনিক আরিসটারকাস অব সামোস গ্রীসের ততকালীন শিক্ষিতদের সামনে ঠিক আজকের সৌরমন্ডলের মডেল তুলে ধরতে সমর্থ হন, যা ওল্ড টেস্টামেন্টের ধারণা থেকে বড়; তিনি প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘুরছে, এবং তারকারাজি সুর্য থেকে বড় বা তার সমান আকারের নক্ষত্র। মতবাদটি ধর্মীয়দের কোপানলে পড়ে; ধর্মীয়রা ওল্ড টেস্টামেন্টের মতো ধারণাই পোষণ করতো, শুধু পার্থক্য হলো গ্রীক ধর্মীয়দের মতে তাদের সৃস্টিকর্তা ছিলো আলাদা; এরিটেটল ধর্মীয়দের মতবাদের পক্ষে থাকাতে আরিসটারকাস অব সামোস'এর মতবাদ পেছনের সারিতে চলে যায়। সামোস, সক্রেটিস, প্লেটো ও সমসাময়িক গ্রীক শিক্ষিতরা অন্য দেশ দখলের বিপক্ষে ছিলেন, নিজ দেশে উন্নত জীবন যাপনের পক্ষে ছিলেন; কিন্তু এরিস্টেটল গ্রীক সাম্রাজ্য বিস্তারের পক্ষে ছিলেন, এবং ধর্মীয় পুরোহিতরা গ্রীক বীরদের শক্তিতে বিশ্বাস করতেন; এই কারণে হয়তো এরিস্টেটল ধর্মীয়দের পক্ষ নেন। গ্রীকেরা তখনাকার বিশ্বে এ্যাস্ট্রোনোমি, নেভিগেশন, রাজনীতি, দর্শন, সাহিত্য ও অংকে অন্য জাতিদের থেকে অনেক সামনে ছিলেন।
সময়ের সাথে সামোসের ধরণাকে অংকের সাহায্য নিয়ে ইন্টারপ্লেনার নিয়মে প্রকাশ করেন কোপেরনিকাস, কেপলার ও গ্যালেলিও। আজকে মানুষ হাবেল টেলিস্কোপের সাহায্য অন্য গ্যালাস্কিসমুহকে পর্যবেক্ষন করছেন। ২২৫০ বছরে, সৌর জগৎ ও বিশ্ব সম্পর্কে মানুষের এনালাইকেল ধারনা বিশালভাবে রিফাইন হয়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁচেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২