ইসলাম ধর্ম এই মহুর্তে ধর্ম হিসেবে, তার নিজস্ব উন্নতির শিখরে আছে; কোন যুগে, কোন মুসলিম দেশে, ইসলাম ধর্ম এত পরিস্কার ও বোধগম্য ছিলো না; কোন মুসলিম অন্চলে এত বেশী মানুষ আরবী ভাষা বুঝতেন না, এত বেশী মানুষ ধর্মীয় শিক্ষা পেতেন না, এত মাদ্রাসা, এত মসজিদ ছিলো না, এত বেশী তরুণ তরুণী ইসলামিক জীবন সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়নি। মুসলিম এলাকাগুলোতে মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক সেন্টার, বইপত্র, ইসলামিক দল, ইসলামিক ব্যাংকিং, অনলাইনে প্রচার এখন একেবারে শিখরে।
মুসলিম-প্রধান দেশগুলো এখন ক্যাপিটেলিজমের সেন্টারে পরিণত হয়েছে, দুবাই, রিয়াদ, জাকার্তা, তেহরান, আম্মান, দোহা এখন বিশ্বের অন্যতম ক্যাপিটেলিজম সেন্টারসমুহ, নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে এগুচ্ছে।
ক্যাপিটেলিজমের মুল চালিকাশক্তি হলো, "মানুষ একা নিজের শ্রম ও সম্পদ দিয়ে ধনী হতে পারে না; তাকে অন্যের শ্রম ও সম্পদ থেকে কিছু নিতে হবে; অন্যকে বাজার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।"
ক্যাপিটেলিজমের মুল ভাবনা কিন্তু ক্যাপিটেলিস্টদের মাঝে বাজারের জন্য আভ্যন্তরীন প্রতিযোগীতার সৃস্টি করে; সেদিক থেকে মুসলিম দেশগুলো নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতায় আছে; তা'ছাড়া তাদেরকে নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে প্রতিযোগীতা করতে হচ্ছে।
লন্ডন, নিউইয়র্ক, জুরিখ, হংকং মুলত অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গত শতাব্দী থেকে প্রতিস্ঠিত হয়ে গেছে; তাদের মুল শক্তি "ফাইন্যান্স"; আবার ফাইন্যান্স হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিক ক্যাপিটেলিস্ট ইনস্টিটিউশান; এখানে মুসলিম ক্যাপিটেলিস্ট সেন্টারগুলো পিছিয়ে আছে; তাদের সম্পদ, মুলত: উৎপাদন ও কাঁচামাল ভিত্তিক। আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিক ও সম্পদ-ভিত্তিক ক্যাপিটেলিজমে আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিকদের সুযোগ বেশী।
মুসলিম দরিদ্রদেশগুলোও পিছিয়ে নেই, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, তিউনিসিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকান মুসলিম দেশসমুহ সৌদী ও দুবাইকে অনুসরণ করে ধনী হওয়ার চেস্টা চালাচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯