আমি রোমে অনেকগুলো মসজিদ দেখেছি; এগুলো মোটামুটি সাধারণ ঘর, বা ঘরের অংশ; মিনার ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়নি; তৈরিকরা ঘর মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে! আমি একটা এলাকায় কিছুদিন ছিলাম, পুরাতন রোমে, কিছু তিউনিসিয়ান বাস করেন এলাকায়, তারা ভাড়া নিয়েছে একটা বড় হল, সেটাই মসজিদ; এলাকায় পার্কিং সমস্যা আছে, অনেকেই পায়ে হেঁটে আসেন।
পায়ে হেঁটে আসার সময়, অনেক মোড়েই মুর্তি পড়ে; রোম মুর্তির শহর; এবং বেশীর ভাগ মুর্তি বেশ আগের তৈরি; রোমান শিল্পীরা মুর্তি তৈরি করলে, সাধারণত শরীর ঢাকার চেস্টা করতেন না।
আমি বেশীদিন ছিলাম না সেখানে; মুর্তি নিয়ে কোন কথা বলতে আমি শুনিনি; কারণ, মসজিদে যারা আসেন তারা নামাজ পড়তে আসেন, নামাজ পড়ে চলে যান, পথে মুর্তি দেখাটা হয়তো বোনাস। এরা আফ্রিকার আরব, এরা নিশ্চয়ই বাংগালীদের মতো মুসলমান নন।
রোমের মুসলমানদের যদি মুর্তি সমস্যা হয়, উহার কোন সমাধান নেই; কারণ, মুর্তি সরানোর কথা কেহ রোমে বলতে পারবে না, কেহ চিন্তা করবে না; তাদেরকে সমস্যা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
রোমানরা আদি সভ্য জাতি; সভ্য মানুষেরা বিভিন্ন স্হাপত্য, মিনার, গেইট, মুর্তির মাধ্যমে তাদের ইতিহাস, ট্রেডিশন, ভাবনা, সংস্কৃতিকে ধরে রাখতেন। রোমের আগের মুর্তিগুলো দেখলে, তাদের তখনকার ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়। সিজারের সময়কার মুর্তি থেকে সিজারের সময়ের কিছুটা অনুমান করা যায়; ক্লিওপেট্রা যে রোমে এসেছিলেন, বুঝা যায়। বাংলাদেশ এলাকায় ২০০০ বছর আগে কি ঘটেছে, কিছু বুঝার উপায় নেই, কোন স্হাপত্য নেই; বাংগালীরা সব সময় হয়তো স্হাপনা, মুর্তি ইত্যাদি অপছন্দ করতেন, কিংবা অত দক্ষ ছিলেন না; সম্ভবত বেশীর ভাগ সময় দরিদ্র ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৯