১৯৯২ সালে জেনারেল এরশাদের বিপক্ষে দায়ের-করা মামলার রায় হয়েছে গতকাল, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে, ২৫ বছর পর, যখন তিনি সরকারে, প্রেসিডেন্টের নীচে, কি একটা গোজামিল পদে জাতির সেবা করছেন। এরশাদ খালাস পেয়েছে; খালাস না পেলে, ৮৭ বছর বয়স্ক এক নাগরিকের কি শাস্তি হওয়া সম্ভব, অপরাধের ২৭ বছর পর? যারা বিচার শুরু করেছিলেন: এটর্ণি জেনারেল, দুদকের লোকেরা, বিচারক, কে কে জীবিত আছেন? মামলা যার ইচ্ছায় করা হয়েছিল, বেগম জিয়া জীবিত আছেন বটে, তবে সাক্ষী গোপাল হয়ে গেছেন!
এরপরও নাকি বর্তমান দুদক আপিল করবে; এগুলো হলো এযুগের বাংগালী গোয়েবলস; শেখ হাসিনার কোয়ালিশনে আছে জেনারেল এরশাদ, উনার জন্য একটা 'স্পেশাল পদ' সৃস্টি করা হয়েছে সরকারে; উনার দলের লোকেরা মন্ত্রী; উনার স্ত্রী রওশহন এরশাদ বিরোধীদলের নেত্রী; রওশনের দলের লোকেরা বিরোধীদলের এমপি; ২৭ বছর পর, যে মামলায় জেনারেল এরশাদ জয়ী হয়েছেন, সেই মামলার আপিল হবে; কোর্টে আরেকটা শাকের আঁটি যোগ হবে? থেমে যা ইডিয়টগণ, জাতির কোর্টে প্রস্রাব করিস না!
শেখ সাহেবের মৃত্যুতে সে যুক্ত ছিল ৩য় চয়েস হিসেবে। জেনারেল জিয়া উনার নিজের মৃত্যুকে ত্বরান্নিত করেছিলেন এরশাদকে জেনারেল বানিয়ে সেনা প্রধান করে। জেনারেল জিয়া মুক্তিযোদ্ধা, উনার সহযোদ্ধা ছিল ৫০ জনের বেশী যারা জেনারেল হয়ে, উনার সময়ে সেনা প্রধান হতে পারতেন; কিন্তু জেনারেল জিয়া পাকিস্তান ফেরত এই শিয়ালের কাছে নিজের জীবনটা জমা রেখেছিলেন।
জিয়া হত্যার পর,জেনারেল এরশাদ জিয়ার পরিবারকে সম্পদ দিয়ে চুপ রেখেছিলো: ১০ লাখ টাকা ততকালীন সময়ে ফিক্সড ডিপোজিটে রেখেছিলো জিয়ার বাচ্চাদের জন্য; ২ টি বাড়ী, গাড়ী, চাকর, চাকরাণী, ফ্রি স্কুল সবকিছুর ব্যবস্হা করেছিলো; তারপরও, বেগম জিয়া ১০ বছর পর, রাগের মাথায় মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন; আজ শেখ হাসিনার সময়, জেনারেল এরশাদ খালাস পেলো, মুক্ত মানুষ; এখনও মানুষের মাথায় প্রস্রাব করে চলেছে; এর থেকে সেরা বাংগালী কে হতে পারে?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬