পারমানবিক যুদ্ধ শুরুর সংকেত পেলে, ৫ মিনিটের মাঝে রাশিয়ার ৯০% মানুষ পাতালে অবস্হিত তাদের জন্য নির্ধারিত স্হানে চলে যেতে পারবে; সেখানে হয়তো বছর বা তারো বেশী সময় থাকার মতো খাদ্য, অক্সিজেন, ঔষধ, ইলেক্ট্রিক, হাসপাতালের ব্যবস্হা আছে; এগুলো তৈরি হয়েছিল 'সোভিয়েত' আমলে; এখন পুটিন যথাসম্ভব এগুলোকে সংস্কার করছে; রাশিয়ার বাকীরা নিকটবর্তী ইনফ্রাস্টাকচারে ঢুকে যেতে পারবে।
চীনের ২০% থেকে৩০% এর ব্যবস্হা আছে বলে মনে হয়; যাদের জন্য ব্যবস্হা আছে, তারা জানে, বাকীরা কিছু জানে না; তবে, সাধারণ ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ঢুকে যেতে পারবে বাকী ৭০% মানুষ; কিন্তু এদের সবাই টিকবে না: রেডিয়েশন, অক্সিজেনের অভাব, খাদ্য, ঔষধ ও আলোর অভাবে মারা যাবে বেশীর ভাগ; এদের মাঝে যারা অসুস্হ হবে, চীনা মিলিটারী তাদের হত্যা করবে, চীনারা অসুস্হের পেছনে সময় ব্যয় করার মতো জাতি নয়।
আমেরিকার মিলিটারী, কিছু পলিটিশিয়ান ও মিলিওনারদের জন্য ব্যবস্হা আছে; বাকীদের জন্য কোন ব্যবস্হা নেই; কিছু একেবারে সাধারণ মানুষও নিজেদের জন্য ব্যবস্হা করার চেস্টা করছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করছে কিনা, সরকার আজো জানায়নি; এবং এই ধরণের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। নিউইয়র্কের মানুষ নিজেদের বেইজমেন্ট ও সাবওয়ে ট্রেন লাইনে ঢুকার চেস্টা করবে; কিন্তু প্রবেশের সময় থাকবে না; কারণ, এই ব্যাপারে কোন ট্রেনিং হয়নি, সেখানে থাকর জন্য কোন পরিবেশ নেই, সামন্য বার্থরুমও নেই।
এই তিন দেশের মাঝে আমেরিকার মানুষের জন্য তুলনামুলকভাবে কিছুই নেই।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিস্টারের জন্য কিছু নেই, সেনা প্রধানের জন্য একটা কমান্ড পোস্ট থাকটে পারে; তবে বেঁচে থাকার মতো কিছু নেই, হয়তো; আপনার কি হবে ভেবে দেখতে পারেন! বর্তমানে যে অবস্হায় আছে বাংলাদেশ, পারমানবিক যুদ্ধ শুরু হলে, যথা সম্ভব সরকার ও মিলিটারী বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%; সেই অবস্হায় মানুষ কি করবে?
সাধারণভাবে ভাবলে, বাংলাদেশ কারো শত্রু নয়; তা'হলে বোমা কেন বাংলাদেশে পড়বে? যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হলেও, পারমানবিক বোমার মালিকদের কোন একপক্ষে যেতে হবে; সেই অনুসারে, ভারতও ও পাকিস্তানকে কোন না কোন পক্ষে যেতে হবে; ফলে, পাক ভারত পারমানবিক যুদ্ধের আওতায় আসবে; বাংলাদেশ স্বাভাবিকভাবেই রণক্ষেত্রের অংশ হয়ে যাবে।
যাক, জাতিকে বেঁচে থাকতে হলে, পারমানবিক বোমাকে বুঝতে হবে; সেটার জন্য ট্রেনিং দরকার; মানুষ বোমাকে ও রেডিয়েশনকে বুঝতে পারলে, প্রাথমিকভাবে নিজের পরিবার ও আশেপাশের মানুষের জন্য ভাবার সময় পাবে, পথ খুঁজতে পারবে, ব্যবস্হা নিতে পারবে; তার জন্য মানসিক ও শারীরিক ট্রেনিং দরকার, টেকনোলোজিক্যাল, রিসোর্স, চিকিৎসা ও সারভাইবেল ট্রেনিং দরকার। প্রত্যেক নাগরিককে বছরে কমপক্ষে ২ সপ্তাহ ট্রেনিং দেয়ার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১০