গত ৯ বছরে, শেখ হাসিনা যতবার বিদেশ গিয়েছিলেন, ফেরার পথে লাখ লাখ মানুষ বিমান বন্দর থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের মুল সড়কগুলোতে জ্যাম লাগিয়ে দিয়েছে; এতে নাগরিক জীবনে ভয়ংকর ভোগান্তি হয়েছে; এবার নাকি তিনি এই ধরণের জনসমাগম করতে মানা করেছেন। যাক, কেহ ৭ বছরে শিখে, অনেক ৭০ বছরে শিখে, ভালো কথা হলো শিখার ব্যাপারে দেরী হলেও শিখতে পারলেই চললো; অনেকে না শিখেই জীবনটা চালিয়ে যান। বেগম জিয়ার সৌভাগ্য যে, উনাকে হয়তো আর নতুন করে কিছুই শিখতে হবে না।
আওয়ামী লীগের কেহ শেখ হাসিনাকে এখন হয়তো আর নাম ধরে ডাকেন না, উনারা নিজেদের দেয়া উপাধি ব্যবহার করেন। এটা একদিক থেকে শ্রদ্ধা হতে পারে, বা ভয়ও হতে পারে। এটা ঠিক যে, শেখ হাসিনার মতো হাসিমুখের বাংগালী হয়তো ২য় জনও খুঁজে পাওয়া যাবে না; কিন্তু সেই হাসিকেও আওয়ামী লীগের অনেকে ভয় পায়, হাসিতে মিছরীর চুরি টুরি আছে নাকি কে জানে!
রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে যাবার সময় প্রোটোকল অনুসায়ী সরকারী লোকজন সাথে থাকার কথা, এয়ারপোর্টে থাকার কথা; আসার সময়ও সরকারী লোকদের থাকার কথা; কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের এলাকার লোকজনকে রাস্তাঘাটে নিয়ে আসে, সব জ্যাম করে ফেলে; অবশ্য অনেক ভক্ত আছেন,যারা নিজের থেকেই যান।
প্রাইম মিনিস্টারকে খেয়াল রাখতে হয় নাগরিক জীবন যেন কোনভাবে ব্যাহত না হয়; তিনি এতদিন খেয়াল রাখেননি; মনে হয়, ক্রমেই উনি প্রাইম মিনিস্টারে পরিণত হচ্ছেন; হয়তো, আমাদের ভালো সময় আসছে সামনের দিনগুলোতে।
নাকি উনি ভারত থেকে দিল্লী-সুইটস মুইটস কিছু কিনেননি, খালি হাতে আসছেন?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮