শেখ হাসিনা এই সফরে, ইতিমধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছেন, বেশীর ভাগই খুচরা; আসল চুক্তি ছিলো পানির চুক্তি; সেটা হয়নি। সেটার জন্য সবাই চীৎকার দিয়ে, শেখ হাসিনাকে ধিক্কার দিয়ে লাভ নেই; শেখ হাসিনা আপনার থেকে একেবারে কম বুঝে না; পানি পেলে দেশ উপকৃত হবে, সেটা তিনি বুঝেন; পানি পেলে উনার সুনাম হবে, সেটাও উনি বুঝেন; বুঝা যাচ্ছে, মমতা ও ভারত থেকে পানি পাওয়া মোটামুটি অসম্ভব। পানি না পেলে, বিকল্প ব্যবস্হা নিতে হবে। দেখা যাক, শেখ হাসিনা দেশে আসলে, সেই বিকল্পের কথা বলেন কিনা!
পানি চুক্তি করেনি ভারত; তবে, সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে; তার মাঝে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য। আগের নেয়া সাড়ে ৩ বিলিয়ন নিয়ে ভারতের কাছে জাতির ঋণ হবে ৮ বিলিয়ন ডলার। মুলধনের অভাবে অনেক দেশ নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাতে পারছে না, চাকুরী সৃস্টি করতে পারছে না। আগের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের আয় থেকে সুদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে কিনা, নাকি বাজেট থেকে দেয়া হচ্ছে, সেটা জাতি জানে না, মনে হয়!
আপনি নিজেও হয়তো একটা ব্যবসার কথা ভাবছেন, কিন্তু মুলধন না থাকাতে, সোনালী ব্যাংক ঋণ না দেয়াতে আপনার ব্যবসাটা হচ্ছে না; বসুন্ধরা ইত্যাদিরা ঘরে বসে ঋণ পায়। ঘরবাড়ী সব বিক্রয় করে যারা দুবাই যাচ্ছে, তারা যদি সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ পেতো, মা-বাবার বাড়ী ভিটেটা রক্ষা পেতো; মুলধন নিয়ে আর বেশী বলার দরকার নেই নিশ্চয়; আপনারা মুলধনের গুরুত্ব বুঝেন; সবাই তো মোটামুটি বিবিএ'এর ছাত্র!
জাতিকে না জানিয়ে ঋণ নেয়া সঠিক নয়; প্রতিটি সঠিক দেশে, সরকার কত সময়ে, কতটুকু ঋণ নিতে পারবে, তার একটা পরিমাণ থাকে; তার থেকে বেশী নিতে হলে পার্লামেন্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়; অনুমতি নিতে হলে, খরচের খাত দেখাতে হয়। আমাদের সরকার সেইসব নিয়ম ইত্যাদি এখনো প্রবর্তন করেনি, মনে হয়।
উনি ভারত যাওয়ার আগে অবধি, ঋণের কথা বলেননি; আমাদের রিজার্ভ অবশ্যই আমাদের আমদানীর প্রয়োজনীয়তা থেকে বেশী; তা'হলে ঋণ কেন? প্রধানমন্ত্রী দেশে এসে ঋনের কারণ ও খাতটা জাতিকে বুঝায়ে বলা সঠিক হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২২