গতকাল রাতে ট্রাম্পের লোকেরা সিরিয়ার উত্তর এলাকার এয়ারপোর্ট, আল-সায়েরাতে ৫৯টি টমাহক মিসািল নিক্ষেপ করেছে ভুমধ্যসাগরে অবস্হিত ২টি যুদ্ধ জাহাজ থেকে; মিসাইল ছোঁড়ার পর থেকে হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও সিএনএন'এর সবাই, বিশেষ করে জেনারেলরা প্যান্ট ফেলে লাফ দিচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে, ক্ষয়ক্ষতি দেখালো; মনে হলো, ঢাকায় পুলিশ ও মানুষে ঢিলাঢিলির পর যা ঘটে তাই ঘটছে, রানওয়ের উপর ৫ ইন্চি ব্যাসের একটা গর্ত হয়েছে, একটা হ্যাংগারে ছিদ্র হয়েছে, প্লেইন উড়তে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আশেপাশের কয়েকটা মানুষহীন ঘরমর ভেংগেছে।
মিসাইল ছোঁড়ার আগে, ওখানকার রাশিয়ানদের জানানো হয়েছিলো; ফলে, রাশিয়ানদের কোন মোটর সাইকেলও নস্ট হয়নি।
সবকিছুর শুরু ছিল ২০১২ সালে, তিউনিশিয়া থেকে, বেকারত্ব ও দারিদ্রতার অবসান চেয়ে প্রতিবাদ, যা পরে "আরব স্প্রীং" নাম পায়; তিউনিশিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন অবধি, আরব সরকারগুলো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী-জীবন যাপন করে আসছে, মানুষ দরিদ্র। সিরিয়াতে এসে যেই প্রতিবাদ শিয়া, সুন্নীর রূপ নেয়; ১৩% শিয়াদের পক্ষ থেকে আসাদ পরিবার ৪৬ বছর ক্ষমতায়, ৭৩% সুন্নীরা বন্চিত। তবে, সব আরবদের সাথে তুলনা করলে, সিরিয়া ভালোই চলছিলো, ৯২% মানুষ খেয়েদেয়ে, চাকুরী করে চলে যাচ্ছিল। সুন্নীরা বাশারের বিপক্ষে যাবার মুল কারণ ছিল, বাশার শিয়া পক্ষের লোক।
সুন্নীরা প্রতিবাদ করেছিল, সেটুকু হয়তো সঠিক ছিলো; কিন্তু অস্ত্র নিয়ে আসাদের বিপক্ষে যাওয়া ছিলো ভুল। এইভাবে, বাশারকে সরাতে গিয়ে আজ ৬ বছরে ৫ লাখ সিরিয়ান প্রাণ হারায়েছে, ৭ লাখ পংগু হয়েছে, ৬০ লাখ এলাকা ছেড়েছে, ১০ লাখ চলে গেছে ইউরোপে, বিভিন্ন দেশে ভিক্ষা করছে ৪/৫ লাখ। সিরিয়ার ৪০০ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরবাড়ী, কলকারখানা ও সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে।
আমেরিকা সুন্নীদের টাকা, অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে; সেই টাকা ও অস্ত্রের একাংশ গেছে আমেরিকা বিরোধী আইএস'এর হাতে। ইরান বাশারকে সাহায্য করছে অস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে, ও শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর মাধ্যমে।
আমেরিকা ১০০০ মাইল দুরে থেকে এর বেশী সাহায্য করতে পারবে না; এখন রাশিয়ানরা সিরিয়ায় ঢোকার পর, আমেরিকা আর কিছুই করতে পারবে না; যদি ডিপ্লোমেটিকেলী যদি কিছু করতে পারে।
এখন সবকিছু আরবদের হাতে; আরবদের মাঝ থেকে যদি আলজিরিয়া ও মিশর এগিয়ে আসে কমপক্ষে যুদ্ধ বন্ধ করে, রেডক্রসকে ভিতরে নিতে পারে, দেশটি রক্ষা পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭