প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করার মতো দক্ষ নন; উনার দক্ষতা অর্জন করার কথা ছিল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়, তখন তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করেছেন, তখন তিনি পড়ালেখার বদলে মিটিং করেছেন, কখন কিসের ক্লাশ হচ্ছে, সাবজেক্টের নামও হয়তো জানতেন না; এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে বক্তৃতা দিয়ে ঘুরেছন, আড্ডা দিয়েছেন, ২/১ বার মস্কো ফস্কোও গেছেন, তাদের সিস্টেম দেখতে; ওদের ভাষা সংস্কৃতি কিছু জানা না থাকাতে অন্ধের হাতী দেখে দেশে ফিরে, আগের থেকেও জোর গলায় কথা বলেছেন; সেই যোগ্যতায় এখন দেশের শিক্ষামন্ত্রী, ছোটখাট ব্যাপার নয়!
আরেকটা কথা, প্রশ্ন ফাঁস হোক, এটা প্রায় সব শিক্ষিত মাতাপিতা চান, সব ছাত্র চায়; তা'হলে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করার দরকার কেন? মাতাপিতারা যখন জানেন যে, তাদের সন্তান ১২ লাখ পরীক্ষাথীর মাঝে ১ম স্হান অধিকার করবে, তারপরও তারা চাইবেন, তাদের সন্তান যেন, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পায়; না হলে, তাদের সন্তান ১ম স্হান হারিয়ে ফেলতে পারে, ২য়, ৩্য় স্হানে চলে যেতে পারে; একজন শিক্ষিত মাতাপিতা লাখ টাকায় প্রশ্ন কিনছেন!
বাংলাদেশের চাকুরী বাজারের প্রতিযোগীতা, অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতা, সমাজে অবস্হান নিয়ে প্রতিযোগীতা আজ পরিবারগুলোকে পরস্পরের সাথে প্রতিযোগীতায় নামিয়ে দিয়েছে। কত লাখ পরিবার তাদের সন্তানের রেজাল্ট নিয়ে মিথ্যা বলছে, হিসেব আছে?
আমাদের এক ব্লগার বলেছেন, "বাংলাদেশের উচিত পারমানবিক বোমা বানানো"; পারমানবিক বোমা বানাতে পদার্থ বিদ্যায় জাতিকে এগুতে হবে, টেকনোলিজীতে এগুতে হবে, অর্থনীতি সেই পর্যায়ে থাকতে হবে; আমার ধারণা, সেই ব্লগার প্রশ্ন ফাঁসে পাশ করা একজন হবেন; না'হয়, বাংলাদেশের মানুষ যখন সৌদীতে ও মালয়েশিয়ায় ক্রীত দাসের মতো কাজ করছেন, সেসব মানুষের পরিবার কিভাবে চলছে, ছেলেমেয়ে কিভাব পড়ালেখা করছে, সেটা না ভেবে বোমার কথা কেন বলছে? অবশ্যই উনার মগজের প্রসেসিং ক্ষমতা কম, কমপক্ষে প্রশ্ন ফাঁসে পাশ করা গ্রাজুয়েট!
মাদ্রাসা ছিল নকল আবিস্কারের ল্যাবরেটোরী, সেসব মানুষদের কান্ডকারখানা জাতি দেখেছেন। নাহিদ সাহেবের যুগ হলো প্রশ্ন ফাঁসের যুগ; প্রশ্ন ফাঁসে পাশ করা জেনারেশন ব্যক্তিত্বহীন আগাছা জেনারেশন সৃস্টি করছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫