আমি আর পোস্ট লিখছি না, ফিনিতো, কাপুত! ব্লগার জাহিদ অনিক বললেন, বই মেলায় ভালোবাসার উপন্যাস, ভুত-পেত্নী, আর কবিতার বই বিক্রি হয়েছে; রাজনীতির উপর সব বই শেষদিন যাকে তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন(অনুমান) লেখকেরা, মানুষ নাকি কয়েক বোঝা বই পেয়েছেন; পরিবহন না থাকাতে বই নেয়াও সম্ভব হচ্ছিল না; স্বয়ং অনিক ৩২ কিলোমিটার হেঁটে ঘরে গেছেন; ৩২ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার সময়, আপনি লাইলী মজনু উপহার দিলেও বেচারা নিতে চাইবে না, কিসের আবার রাজনীতির বই!
মেলায়, কার কার রাজনীতির বই আসতে পারে? মাহমুদুর রহমান মান্না, ড: এমাজুদ্দিন, আসিফ নজরুল, বিএনপি'র মওদুদ, ব্লগার মেঘদুত, রনি না ফনি কে একজন আছেন, আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত! আর কে লিখতে পারেন, আর কে লিখতে পারেন? শায়মা, কিংবা গেমু?
মাহমুদুর রহমান মান্নার লেখা বই পড়লে আপনিও জেলে যাবেন; উনি সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছাত্রনেতা; উনাকে শেখ হাসিনা এমপি'র নমিনেশন দিয়েছিলেন, উনি পরাজিত হয়েছিলেন; পরাজিত হলে অনেকের মাথা ঠিক থাকে না; উনি ২০১৫ সালে ঢাকার মেয়র হওয়ার জন্য বুদ্ধি নিচ্ছিলেন নিউইয়র্কে লুকিয়ে থাকা মেয়র খোকা থেকে; বেচারা, অনেকদিন লালঘরের ফ্রি ভা্ত খেয়েছেন।
আরেক লেখক হচ্ছেন ড: এমাজুদ্দিন সাহেব; উনার বই আপনাকে পড়তে হবে না, বেগম জিয়া কেন ৯০ দিন বিএনপি অফিসে ঘুমালেন, সেটা যদি বুঝতে পারেন, এমাজুদ্দিন সাহেবের মতো একটা পিএইচডি আপনারও পাওয়া উচিত, আপনি হাত তুলবেন, আমি আপনাকে পিএইচডি'র সার্টিফিকেটটা দিয়ে দেবো। ড: এমাজুদ্দিন সাহেব হচ্ছেন বেগম জিয়ার রাজনৈতিক উপদেস্টা ও বিএনপি'র থিংক ট্যাংক; উনার লেখা প্রায় সময় 'বিডি নিউজ-২৪' এ থাকে; আপনি পড়ে দেখতে পারেন, পয়সা লাগবে না।
আসিফ নজরুল সাহেব আইনের প্রফেসর, মনে হয়; উনি জীবনে অনেক ডিগবাজী দিয়েছেন, শুরু করেছিলেন ঘাতক দলালদের ফাঁসী চেয়ে; শেষদিকে অল্পের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসী চাননি; এদের জন্য রাজনীতি আসেনি; এরা রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের মাঝে পার্থক্য বুঝেন না।
বাকী রলো মওদুদ সাহেব, উনি বই লিখেছেন, নামটা ভুলে গেছি; বইটা ছিল ইংরেজীতে; এখন বাংলা করা হয়েছে কিনা কে জানে! সবগুলোই ছিলো সৌজন্য কপি; পিন্টু থেকে ফালু, লালু থেকে কালু সবাই ১ কপি পেয়েছেন। আপনি এখনো না পেলে পেয়ে যাবেন; ৫ টাকার বাদাম কিনবেন, ঠোংগা যদি ইংরাজী বইয়ের পাতা দিয়ে তৈরি হয়, সেটা যথাসম্ভব উনার বই'এর প্রথম পাতা।
রাজনীতির বই বিক্রয় হবে, বিক্রয় হবে, সামনে যদি মুহিত সাহেবের বই বের হয়, হয়তো বিক্রয় হবে; সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা অন্য একাউন্টে সরানোর জন্য পাসওয়ার্ড থাকতে পারে অটোগ্রাফ হিসেবে।
ছবি: পাবলিক ডোমেইন থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৫৬