ওয়াইহো রাজ্যের ক্লীবল্যান্ড শহরে রিপাবলিকানদের কনভেনশন চলছে, শুরু হয়েছে গত সোমবার, আগামীকাল বৃহস্পতিবারে শেষ হবে; কনভেনশনের মুল উদ্দেশ্য দলের প্রেসিডেনসিয়াল ক্যান্ডিডেট ও ভাইস প্রেসিডেনসয়াল ক্যানডিডেট ঘোষণা করা; সেটা সঠিক মতো হয়ে গেছে; ট্রাম্প বিনা সমস্যায় নমিনেশন পেয়েছে ও ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গভর্ণর মাইক পেন্সকে নিজের ভাইস প্রসিডেন্টের পদে নিয়োগ দিয়েছে।
অনেক বিখ্যাত রিপাবলিকানরা কনভেনশনে অংশ নেয়নি; এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুশ পরিবার, ২০০৮ সালের ক্যানডিডেট সিনেটর ম্যাককেইন, ওহাইও রাজ্যের গভর্ণর কেইসি। ট্রাম্পের সাথে প্রাইমারীতে অংশ নেয়া ১৭ জন সিনেটর ও গভর্ণরদের অনেকেই কনভেনশনে না আসার পক্ষে ছিলেন; শেষ পর্যন্ত অনেকেই এসেছেন, মাত্র ২/৩ জন আসেননি; সবার অভিযোগ, ট্রাম্প প্রাইমারী বিজয়ের জন্য সবাইকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে।
ট্রাম্প সবাইকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে, সন্দেহ নেই; কিন্ত উনারা কেহ কিন্তু বসেছিলেন না; সবাই নিজ নিজ টেকনিক প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছিল; কিন্তু সবাই একে একে ব্যর্থ হয়েছে। এবারের প্রাইমারীতে রাজননীতিবিদদের সাথে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের কথা কাটাকাটি, তর্ক ইত্যাদি শুঢুমাত্র রাজনীতির গন্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিলো না, মুলত: ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল; অনেকটা আও্য়ামী ও বিএনপি'র মতো; এবং এটার দরকার ছিলো; কারণ, এরা অনেকেই মুল আমেরিকানদের কথা ভুলে, এক ধরণের রাজতন্ত্র গড়ে তুলেছে ওয়াশিংটনে; ট্রাম্প তাদের বলয় ভাংতে চেয়েছিল।
শুক্রবার থেকে বুঝা যাবে ট্রাম্পের অবস্হান; বর্তমানে, জনমত জরীপে সে হিলারীর সাথে একই লেভেলে আছে। আবার আগামী সপ্তাহে ডেমোক্রেটদের কনভেনশন; সেটা হবে বেশ ঐক্যবদ্ধভাবে। ডেমোক্রেটদের রাজনৈতিক ইতিহাসে হিলারী হবেন সবচেয়ে দুর্বল প্রার্থী; এবং তাকে লড়তে হবে এক অরাজনীতিবিদ প্রার্থীর সাথে; ফলে, হিলারীসম্পর্কে ভালো কিছু প্রেডিক্ট করা মুশকিল।
কনভেনশনে অনেক সুন্দরভাবে নিজের ভানাসমুহকে তুলে ধরেছে ট্রাম্পের ছেলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র; সে শিক্ষা ও দরিদ্র আমেরিকানদের বিষয়টা সঠিকভাবে তুলে ধরে, এগুলোর সমাধান নিয়ে আলাপ করেছে; আমেরিকা পছন্দ করেছে, সবাই বলেছে যে, সে ওবামার অনুসারী।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৭