দেশের শিক্ষিত সমাজ বলেছেন সুন্দর বনের পাশে বিদ্যুত কেন্দ্র না করতে; সরকার কানে নিচ্ছে না। কিন্তু শিক্ষিত সমাজ একটা দরকারী কথা বলেননি, সেটা হলো, "সুন্দরবনের পাশে যদি কেদ্র হয়েই যায়, তবে সেটা মানুষের পয়সায় করা হোক; গরু হারালেও মানুষ যেন কমপক্ষে জুতাটা পান"। আমি বলতে চাই, " সুন্দরবন যদি ধ্বংসই হয়, তবে সেখান থেকে যেই কয়েক পয়সা লাভ হয়, সেটা বাংগালীদের পকেটে আসুক, উহা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পকেটে যাবে কেন?"
আমাদের রাজনৈতিক নেতা থাকলে আছেন একজন, শেখ হাসিনা; উনিই আমাদের পরিবেশ বিজ্ঞানী, উনিই আমাদের সন্ত্রাস-দমন স্পেশালিস্ট, উনিই আমাদের সমাজ বিজ্ঞানী; উনিই আমাদের সব, উনি আওয়ামী লীগের মাথা; ফলে, দেশের অন্য কারো মাথাকে কাজে লাগানোর দরকার হচ্ছে না, সবকিছু চলে যাচ্ছে!। পুরোদেশের শিক্ষিত লোকেরা বলছে যে, সুন্দর বনের পাশে বিদ্যুত কেন্দ্র করার দরকার নেই, কিন্তু উনি ওখানেই কেন্দ্র তৈরি করাবেন; ঠিক আছে ওখানেই যদি তৈরি করেন, তবে মানুষের পয়সায় করেন।
জাতির শিক্ষিতদের উপদেশ, অনুরোধ অমান্য করে শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যাচ্ছেন, এই কাজ শেষ অবধি শেষ হবে না; আজ হোক, কাল হোক এই বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে গন্ডগোল হবে; কেন্দ্র পরিত্যক্ত হবে। ভারতীয় কোম্পানী নিশ্চয় বাংগালীদের বুঝে, ওরা টাকার বেলায় রিস্ক নেবে না; ওরা কেন্দ্র নির্মাণের খরচ বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপায়ে দেবে; যাতে, কিছু ঘটলে উহারা নিজের ডিম নিয়ে পালাতে পারে। তারা হয়তো অপারেশনে বিনিয়োগ করবে, কই মাছের তেলে কই মাছ ভাজী করে, মাছ খাবে!
মানুষের পয়সায় করতে হলে, মানুষের কথা শুনতে হবে; সেখান থেকে মানুষের মনোভাব বুঝা যাবে; বিদেশ থেকে নেয়া ঋণে এই ধরণের কাজে হাত দিলে, সরকার ও জাতি কখনো সিরিয়াসলী ভাবার সময় পায় না, দরকারও অনুভব করে না।
সময়ের সাথে, কাজ শুরু হলেও এই কেন্দ্র পরত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৪