১ লাখ শিক্ষিত নাগরিক একত্রিত হয়ে, দেশের বর্তমান পরিস্হিতিতে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরতে পারেন, সরকারের কাছে প্রস্তাবনা রাখতে পারেন; কিন্তু 'ফতোয়া' নামে যা আমাদের দেশে পরিচিত, উহা কেহ দিতে পারবেন না। এই দেশে শিক্ষা ব্যবস্হার মাঝে মাদ্রাসার গ্রাজুয়েট আছেন, স্কুল, কলেজ, ইুনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট আছেন; কেহ কোনভাবে আলাদা গ্রুপ নন, সবাই শিক্ষিত সমাজের অংশ; এখানে নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবেন। দেশে ৮/৯ কোটী শিক্ষিত মানুষ আছেন, সবার মতামত আছে; কিন্তু 'ফতোয়া' দেয়ার অধিকার কারো থাকার কথা নয়।
দেশের সংবিধান আছে, পার্লামেন্ট আছে, প্রচলিত আইন আছে, সরকার আছে; এখানে 'ফতোয়া' দেয়ার অধিকার কারো নেই। আমদের সরকারগুলো সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সরকার; সরকারের বাহিরে অন্য কোন তন্ত্র এখানে কেহ জারি করতে পারবে না; যত নতুন তন্ত্র, যত রদবদল সবই আসবে পার্লামেন্ট হয়ে।
৪৫ বছর, দেশ ক্রমাগতভাবে বিশৃংখলার দিকে চলে যাচ্ছিল, এখনও যাচ্ছে; বর্তমানে দেশে সীমিত আকারে এনার্খীর সৃস্টি হয়েছে; দেশের কিছু মানুষ বিচার ব্যবস্হা ও আইন শৃংখলাকে পদদলিত করে চলেছে; সরকারের অবস্হান থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সরকার খুব একটা বিচলিত নয়। দেশের অবস্হা মোকাবেলার ভার সরকারের উপর। সরকার ছাড়া অন্য কেহ সংবিধানের বাহিরে কোনরূপ পদক্ষেপ ইত্যাদির কথা বলার অধিকার রাখে না; কাউলে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য বিচার ব্যবস্হা আছে; দেশের পরচলিত আইন ও সংবিধানের কাঠামোর বাহিরে নতুন কোন ব্যাখ্যার স্হান প্রজাতন্ত্রে নেই; সেগুলো ছিল রাজতন্ত্রে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১