পুলিশের "সাঁড়াসী আভিযান"এর ঘোষণার পর, যারা যারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে, তারা যদি আসলেই সন্ত্রাসী হয়, তারপরও তাদেরকে "জাতীয় বেকুব" ঘোষনা করে, ২/১ মাসের আই'কিউ ট্রেনিং দিয়ে ছেড়ে দেয়া হোক; এসব সন্ত্রাসীরা সাধরণ মানুষ থেকে গড়ে কম বুদ্ধিমান, সেজন্য এরা ধরা পড়েছে; এ রকম কম-বুদ্ধিমান সন্ত্রাসী ধরলে, কমপকক্ষে ২/৩ কোটীকে ধরতে হবে।
আমার মনে হয়, ১৭ কোটী সাধারণ মানুষ ও সন্ত্রাসীদের মনে একটা প্রশ্ন আছে, "সাঁড়াসী আভিযান"এর আগে ঘোষণা কেন দেয়া হয়; আসামী গ্রেফতারের আগে, হত্যাকান্ডের "ভিডিও ফুটেজ" কেন মিডিয়ায় আসে; আসমাী ধরা পড়ার আগে কোন কোন এলাকায় আসামীকে খোঁজা হচ্ছে, কতটা দল মাঠে নেমেছে ইত্যাদির ঘোষনা কেন দেয়া হয়?
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী নিহত হওয়ার পর, সরকার "সাঁড়াসী আভিযান"এর ঘোষণা দিয়েছেন; যারা সব সময় ভয়ে আছেন, তারা এই ধরণের "সাঁড়াসী আভিযান" দেখে কিছুটা সাহস পাবেন, কিছুদিন নিজকে নিরাপদ ভাববেন। এবারের "সাঁড়াসী আভিযান"এর শেষ হওয়ার পর, উনারা মনে মনে আরেকজন অফিসারের বউ'এর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবেন, হয়তো।
হত্যাকান্ডের পর, হত্যাকারীদের নিশ্চয় কিছু সময় ভালো 'হাইড আউট"এ লুকিয়ে রাখার ব্যবস্হা আছে; দেশে কিছু কিছু অন্চল আছে, যেখানে পুলিশের উপস্হিতি কম; তা'ছাড়া আছে কিছু দুর্গম এলাকা; তা'ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সহজেই বার্মা ও ত্রিপুরায় চলে যাওয়া যায়; ফলে, এসব ঘোষিত "সাঁড়াসী আভিযান" কোন ফলাফল আনবে না। কিন্তু আমাদের পুলিশ এই ধরণের "সাঁড়াসী আভিযান"কে ঈদের মত ভালোবাসে; রোজার ঈদের আগে এই অভিযানটির খুবই দরকার ছিলো, পুলিশদের বড় বস বুদ্ধিমান লোক।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৭