ইউরোপ ব্যতিত, বিশ্বের বিরাট এলাকায় সরকারগুলো, সরকারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা, ব্যবসায়ী, ও এক ধরণের বুদ্ধিজীবিরা নতুন শিক্ষিত লোকদের ভয় পাচ্ছে অনেকদিন থেকেই; কিন্তু কম্প্যুটিং'এর প্রসার ঘটার পর, অনেকেই খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছে; অনেক দেশের উঁচু শ্রেণী চাচ্ছে যে, বাকীরা টেকনিক্যাল পড়ালেখা করে একটা ক্যারিয়ার গঠন করে, ভালো আয় করে, ভালো থাকুক; সায়েন্স, ইকোনোমিকস, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ফিলোসফি, সাহিত্য, সমাজবিদ্যার মত সাবজেক্টগুলো যেন বেশী পড়ানো না হয়।
এশিয়ায় একমাত্র জাপান ছাড়া অন্য কেহ রিসার্চে টাকা পয়সা খরচ করতে চাচ্ছে না; বেশীর ভাগ কলকারখানার মালিকেরা চাচ্ছে দরকারী রিচার্চ তাদের নিজেদের কন্ট্রোলে রাখতে। যদিও ভারতীয় প্রায় স্কুল আমেরিকার অনেক রিচার্চ কাজ করতো, সম্প্রতি আমেরিকা এই ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার শুরু করেছে।
আমেরিকা ক্রমেই শিক্ষার ফি বাড়িয়ে দিচ্ছে; আমেরিকার স্কুলে এখন চীনা, রাশিয়ান, ভারতীয় ও দক্ষিণ আমেরিকার ছাত্রটা মাস্টার্স ও পিএইচডি করছে। এবারের প্রাইমারীতে এক প্রেসিডেনসিয়াল প্রার্থী ফ্রি পড়ানোর প্রস্তাব আনায়, তাকে পরাজিত করতে ধনীরা ভয়ংকর টাকা খরচ করেছে।
আমাদের দেশে একটি শ্রেণী গড়ে উঠেছে, এরা চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাকে ছাত্র-বান্ধব করে তুলতে; পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে যাতে পাশ করা যয়।
ব্লগিং আমাদের দেশের কিছু মানুষকে ভয়ংকরভাবে ভয় লাগিয়ে দিয়েছে; তারা বুঝতে পেরেছে যে, ব্লগাররা ক্রমাগতভাবে সবকিছুর উপর সর্বাধুনিক ধারণা লাভ করছে, এবং তাদের ধারণাকে রিফাইন করছে ক্রমাগতভাবে; আজকে যদিও খেলাচ্ছলে অণু কবিতা লিখছে, ছোট গল্প লিখতে গিয়ে রচনা লিখে ফেলছে, ছোটখাট অংকের পাযল লিখছে, ভুল রাজনৈতিক ডেফিনেশন দিচ্ছে, কিন্তু এই চারাগাছগুলো শীঘ্রই বড় বড় বৃক্ষে পরিণত হবে; এটা কিছু মানুষের জন্য ভয়ংকর ভীতির কারণ হয়ে গেছে।