ব্লগে সিরিয়ান রিফিউজী বাংলাদেশে আনার জন্য কোনরূপ পোস্ট দেয়া হয়নি, মনে হয়; পোস্ট দিলে সরকার, এনজিও বা এতিমখানাগুলো কালকে কোন সিরিয়ান রিফিউজী নিয়ে আসবে না; আসলে কোনদিনই আনবে না; কিন্তু রিফিউজীদের পক্ষে একটা পোস্ট তো আসতে পারতো!
সিরিয়ানদের এই বিপদে সবচেয়ে মানবিক সাহায্য দিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। যদিও তুরস্কে অনেক রিফিউজী অবস্হান করছে, রিফিউজীরা অভিযোগ করছে যে, তুরস্ক তাদের প্রতি নির্দয় ব্যবহার করছে, ও ধরে ধরে জোর করে, সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে।
ইউরোপের পরে, যে দেশটিতে সিরিয়ানরা একটু শান্তির যায়গা পেয়েছে, সেটা হলো 'লেবানন'; লেবাননে এখন ১৫ লাখ সিরিয়ান রিফিউজী অবস্হান করছে; লেবাননে আরো আছে ৫ লাখ প্যালেস্টাইনী রিফিউজী; সব মিলে ২০ লাখ; আর লেবাননের নিজের লোক সংখ্যা ৪০ লাখ; লেবানন আবার আধা খৃস্টান, আধা মুসলিম দেশ।
তা'হলে, প্রতি ১০০ জন লেবানীজের মাথায় পড়ছে ৫০ জন রিফিউজী; এবার ঠেলা বুঝেন। আরও সমস্যা আছে, ১৫ লাখের মাঝে বাচ্ছা ও মায়েদের সংখ্যা বেশী; কারণ কি? কারণ হলো, যাদের গায়ে শক্তি আছে, তারা ইউরোপ যাবার জন্য গ্রীক ও তুরস্কে প্রবেশ করেছে; বাচ্ছাদের মায়ের সাথে লেবানন পাঠায়েছে। লেবাননের নিজের আছে ২৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী; আর রিফিউজীদের স্কুল ও কলেজমুখো ছেলেমেয়ে হচ্ছে, ৪ লাখ ৫০ হাজার; ভালো, এবার এদের পড়ান!
বাংলাদেশে সাময়িকভাবে, কিছু বাচ্ছা হলেও নেয়ার দরকার, ২/১ হাজার ছেলেমেয়েকে এনে ২/১ বছর পড়ালে খারাপ হতো না; ২/১ বছরের মাঝে যুদ্ধ থেমে যাবে। ২ হাজারের বেশী বাংগালী সিরীয় রিফিউজীদের সাথে মিশে ইউরোপে ঢুকে পড়েছে; এটা হলো ঢাকার আদম ব্যাপারীদের দক্ষতার চিহ্ন; সেই দিক থেকে কমপক্ষে ২ হাজার রিফিউজী হলেও নেয়া বাংলাদেশের দায়িত্ব।