আরো একটা ক্লান্তিকর রবিবারের সন্ধ্যায় আমি, অপেক্ষা করছি ট্রেন এর জন্য। লন্ডনে রবিবার মানেই হলো প্রতিদিন এর ব্যস্ততা থেকে একটু থমকানো একধরনের আলসেমি যা আমার উপর ও ভর করে।
পাঁচ মিনিট পার হয়ে গেল, এখন ও ট্রেন আসার নাম নেই। প্লাটফর্ম এ আমার মতই কিছু হতভাগা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভিন্ন দেশের কিন্তু গন্তব্য মনে হয় সবার একটাই? অপেক্ষা, কখন ট্রেন আসবে আর মুক্তি মিলবে হাড়কাপানো ঠান্ডা থেকে।
দূরে ট্রেনের আলো দেখা যায়।আরো ৩/৪ মিনিট লাগবে আমার ষ্টেশনে পৌছাতে। ততক্ষনে পায়চারী করে শরীরটাকে একটু গরম করে নেই। ইতিমধ্যে তুষারপাতের পরিমান বেড়ে গেছে, সেই সাথে বাতাসও। হাতদূটো পকেটের নিরাপত্তায় তাই ঐগুলি নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু নাকটা যে ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে আসছে বেশ টের পাচ্ছি। এই মূহুর্তে এক কাপ হটচকোলেট খুব দরকার ছিল।
গতি না কমিয়েই ট্রেনটা প্লাটফর্মে এসে পড়ল। ট্রেন এসে পড়েছে, অপেক্ষমান যাত্রীদের ব্যস্ততা ও বেড়ে গেছে। শেষমুহুর্তের যাত্রীদের তাড়াহুড়ো, সেই সাথে মাইকে ঘোষকের যান্ত্রিক গলা, সবমিলে একটু তালগোল পাকানো অবস্থা।
আমি ধীরস্থীর, বিন্দুমাত্র তাড়াহুড়ো নেই। আমি জানি এই ট্রেনটাতেই উঠব, শেষ কামরার শেষ আসনটা আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে রোজকার মত।