আমরা জানি, এই সরকার মিডিয়া বান্ধব সরকার। এই সরকার, গণমাধ্যম বান্ধব সরকার। এই সরকার, প্রিন্ট মিডিয়া বান্ধব সরকার। এই সরকার, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বান্ধব সরকার। এই সরকার, সাংবাদিকদের বিশেষ সম্মানীদাতা সরকার। এই সরকার, সাংবাদিক লালন পালন করা সরকার। এই সরকার নিত্য নতুন সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম জন্ম দেওয়া সরকার। এই সরকার, ইয়োলো জার্নালিজমের জন্মদাতা সরকার। এই সরকার মুন্নী সাহা এবং জয়-ই মামুনদের জন্মদাতা সরকার। এই সরকার নাঈমদের মত সাংবাদিকদের লালন পালন করা সরকার। এই সরকার, টকশো নিয়ন্ত্রক সরকার। এই সরকার মিডিয়ার প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করা সরকার। এরকম হাজারো বিশেষণে বিশেষিত করে বর্তমান সরকারের গুনকির্তন করা যাবে। কিন্তু তারপরও কেন যে এই মিডিয়ারা এইসব ছবি প্রকাশ করে, তা আমার বুঝে আসে না। এই ইকবাল সোবহান মাহমুদদেরকে এত্তো টাকা বেতন দিয়ে রেখে কি লাভ হচ্ছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। এসব ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ পায় কি করে? অথবা সম্পাদকরা কি করে এত্তো দুঃসাহস করল? মুজিবের সৈনিকরা যা খুশি তাই করবে। তাই বলে, পত্রিকায় ছবিসহ দিতে হবে! এটা কেমন কথা?
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কপিল উদ্দিনকে (৪৫) আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার ভোরে ৪ বস্তা ফেনসিডিলসহ র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের সদস্যরা তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এরপর মামলাসহ তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে র্যাবের ডিএডি বিলাল হোসেন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মাদকদ্রব্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে কপিল উদ্দনকে আদালতে সোপর্দ করেছে জীবননগর থানা পুলিশ।
জীবননগর থানার ওসি একরামুল হক জানান, মঙ্গলবার ভোরে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের টিএডি বিলাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য উপজেলার উথলী গ্রামের কোফিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এরপর তার বসতঘর তল্লাশি করে চারটি প্লাষ্টিকের বস্তা থেকে ৪৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
মুজিবের সৈনিক ৪৪৫ টি বোতলই ঘরে রাখুক আর এক হাজারটি ঘরে রাখুক তাতে পুলিশের কি,হু? দেশটা তাদের আব্বু মুজিবুর রহমান এবং তার সন্তানেরা স্বাধীন করেছে। অতএব দেশের মালিক এখন তারাই। সুতরাং আইনত তারা যা ইচ্ছা তাই করবে তাতে কার বাপের কী? যেখানে মুজিব আব্বুই কিছু বলেন নি! আর তারা কি দেখে না, দেশের মালিক না হলে হাসিনা আপা কি করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে থাকে! নির্বাচন না দিয়েও প্রধানমন্ত্রী থাকা যায় একমাত্র পৈত্রিক সূত্রেই। সেই পৈত্রিক দেশে লীগের নেতাকর্মীরা যা খুশি তাই করবে, জাহাঙ্গিরনগরের মানিকের মত ধর্ষনের সেঞ্চুরী করবে তাতে কার বাপের কি! দেশটা মুজিব আব্বুর! তাই আব্বুর লীগ সন্তানেরা হাজারটা খুন করলেও কোন মামলা হবে না! কোন নিউজ হবে না! কোন ফটোসেশন হবে না। শুধুই উন্নয়নের নিউজ ছাপানো হবে। উন্নয়নের ফটোসেশন হবে।
বুঝতে পারছি না, পত্রিকাওয়ালারা সব জামায়াত-শিবির হয়ে গেল নাকি।
এসব কি হচ্ছে? হাসান মাহমুদরা কোথায়? ইকবাল সোবহানরা কোথায়? শাকিল না হয় পটল তুলে পগারপার হয়ে গেছে! তাই বলে বাকিরাও ঘুমিয়ে গেছে! এসব নিউজ দেখে সত্যিই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে! কবে দেখব, পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছে, “জামায়াত এবং শিবিরের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত। কবে দেখব, ইয়াবা ফেন্সিডিল আরো যত কিছু আছে সবসহ জামায়াত অথবা শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার”।
প্রয়োজন হলে ফটোশপ করে হলেও এইসব নিউজ করতে হবে। ফটোশপ করে যদি প্রধানমন্ত্রীর জনসভার লোক বাড়ানো যায় তবে জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে ফটোশপ একশন কেন নেওয়া হবে না, জাতি জানতে চায়। জাতির আব্বুর মেয়ের প্রধানমন্ত্রীত্ব থাকাকালীন সময়েও যদি এসব করা না যায় তবে কবে করবে? ঐ ইকবাল সোবহান! প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হইছোস কি মাথা কামানোর জন্য! এইসব দেখতে পারোস না! আকাইম্মা!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৬