somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামীলীগ তালেবানকেও হার মানালো!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আফগানিস্তান এবং তালেবান এই দু’টি শব্দ আমাদের দেশের রাজনীতিকদের মুখে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। একদল অপরদলকে কুপোকাত করতে বলে থাকেন, সরকারী দল দেশকে আফগানিস্তান বানাতে বদ্ধ পরিকর। আবার সরকারী দল বলে থাকেন, তালেবানদের অনুকরনে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিরোধী দল। তারা তালেবানদের মত ধ্বংসাত্নক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এসব তালগোল পাকানো বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে একটু তাত্বিক আলোচনায় যাই। তাত্বিক আলোচনা বললেও আমি কোন গভীর আলোচনায় যেতে চাই না।

রুশদের আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছুটা পড়াশুনা করার সুযোগ হয়েছিল। সেই পড়াশুনা লবদ্ধ জ্ঞান থেকে তালেবান এবং আফগান মানুষদের চরিত্র ও বৈশিষ্ঠ্য সম্পর্কে একটি কথা বলি। আফগানিস্তানের অলিগলিতে ক্লাশনিকভ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। আফগানদের প্রতিটি ঘরই ছোট খাট অস্ত্র ভান্ডার। আফগানদের কোন বিয়ে শাদি হলে,তারা গুলি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করে। এই রীতিটা তালেবানদের যুদ্ধ জয়ের আনন্দ্র প্রকাশেও দেখা যায়। খুব খেয়াল করে দেখুন, ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান ক্রিকেট টিমের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ান-ডে সিরিজের আয়োজন করা হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ পরাজয় বরণ করে। আর এই আনন্দে আফগানিস্তানের মানুষ আকাশে গুলি ছুঁড়ে উৎযাপন করে। এটা আফগানিস্তান অথবা তালেবানদের সংস্কৃতি।

কিন্তু এখন আমরা দেখছি, আফগান অথবা তালেবানদের সেই সংস্কৃতি যেন উড়ে এসে বাঙ্গালীর উপরে ভর করেছে। এবার ভাতিজির বিয়েতে গুলি ছুড়ে উল্লাস আ.লীগ নেতার!



আওয়ামী লীগ নেতার বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে। গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছে। লাল-নীল আলোয় সাজানো বাড়িতে সবাই গানের তালে নেচে-গেয়ে উদ্‌যাপন করছেন। ছোট-বড় সবাই আছে সেখানে। হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতা একটি শটগান ও একটি পিস্তল নিয়ে হাজির হলেন। সবার সামনেই খোলা আকাশে ছুড়লেন শটগানের গুলি।

গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের মেয়ের বিয়েতে এ কাণ্ড ঘটান। গুলি ছোড়ার ওই দৃশ্য তাঁর ভাইয়ের ছেলে সাদমান আল সাকিব তাঁর ফেসবুক আইডিতে সরাসরি প্রচার (লাইভ) করেন। মঙ্গলবার রাতে ছিল গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। বিয়ে হয়েছে গতকাল শুক্রবার।


ফেসবুক লাইভে আপলোড হওয়া দুটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শামীমুল শটগান উঁচু করে গুলি ছুড়ছেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে থাকা কয়েকজন তরুণ ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। ‘দিলাম’ বলেই গুলি ছোড়েন ওই নেতা। এরপর তরুণেরা হাসিমুখে উল্লাস করেন।
ফেসবুকে এ রকম ভিডিও চিত্র সরাসরি দেখানোর পর কয়েকজন সেখানে মন্তব্য করেন। আল-আমিন নামের একজন লেখেন, ‘এটা কোন আইনের মধ্যে পড়ে?’ জবাবে সাদমান আল সাকিব লেখেন, ‘এখানে আমরাই আইন’

চমৎকার মন্তব্য। এখানে আমরাই আইন। আমি আগেই বলেছি মুজিবের সৈনিক হলে আর কোন আইনের প্রয়োজন নেই। যেমন যে কেউ আল্লাহু আকবার বলে গুলি অথবা চাপাতি চালালেই যে কেউ হয়ে যায় জামায়াত শিবির। সে মিল্কির মত জাত আওয়ামীলীগ নেতা হলেও রক্ষে নেই। সে জামায়াত শিবির এই কথা ফলাও করে টিভির ব্রেকিং নিউজের লাল ঘরে শো করতে দেখা যায়। ঠিক তার উল্টো কোন অপরাধ করার আগে জয় বাংলা বললেই হল! তার যতোসব অন্যায় পুলিশের খাতায় লেখা আছে তা এক নিমিষের মধ্যেই পূ্ণ্য হয়ে যাবে। তখন সে অপরাধী নয়, মহান মুজিব সৈনিক।

শুনেছি, তালেবান সৈন্যদের মধ্যে যদি কেউ অপরাধ করে তবে তাকে নাকি কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু মুজিব সৈন্যরা অপরাধ করলে বরঞ্জ বুকে টেনে নেয়া হয়। থানার ওসিরা কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডারের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করানোর চেষ্টা করেন। সব মিলিয়ে দেখতেছি, এই মুজিবের সৈন্যরাই বেশি ভয়ানক। কেন যে শুধু শুধু বিশ্ব টেরোরিষ্টদের তালিকায় তালেবানের নাম দেখা যাচ্ছে। এ সত্যিই অবমাননাকর। মুজিব কাকুর সৈন্যদের অপমান মেনে নেয়া যায় না। বিশ্বের ভয়ানক টেরোরিষ্টদের তালিকার সবার উপরে মুজিব কাকুর সৈন্যবাহিনী মানে আওয়ামীলীগের নাম থাকা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×