somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখন আর গোপালভাঁড়ের গল্পের প্রয়োজন পড়ে না। সাংবাদিক এবং নেতারাই বড় গোপালভাঁড়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্মটা মফস্বল এলাকায় হয়েছিল। বাড়ি থেকে কয়েক কিলো দূরে গেলেই গ্রাম। মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণ এবং উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে গ্রাম এলাকাগুলোতে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। গ্রামে ঘুরতে গিয়ে বেশ মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এটা হয়তো শুধু গ্রামেই নয় শহরের মানুষের মাঝেও এই বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান রয়েছে। নিজের ঘরের প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে কেউ খোড়া নুলা কিংবা ঢসা বলতে চায় না। কিন্তু পাশের বাড়ির প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে যেভাবে পারা যায় খোড়া নুলা ঢসার চাইতে আরো বেশি কিছু বলতে চায়। হয়তো ভাষার সংকির্ণতার কারণে আর কোন বিশেষণ যোগ করতে পারে না।

সেই গ্রামের মানুষগুলোর পূর্ণ ছায়া বর্তমান সরকারের মাঝে দেখা যাচ্ছে। সাবেক স্বৈরাচারী সরকার এরশাদ সাহেবের হ্যা এবং না ভোটটিকে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোই ক্যাঙ্গারু নির্বাচন বলে থাকে। আবার ৯৬ সালে খালেদা জিয়ার দলীয় সরকারের অধীনে স্বল্পস্থায়ী নির্বাচনকে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার এবং তাদের নেতারা প্রহসনের নির্বাচন কিংবা ‘গনতন্ত্রের মৃত্যু’ বললেও ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনকে অবৈধ বলতে নারাজ। বরঞ্জ এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং বৈধ নির্বাচন। এ যেন গ্রামের সেই গৃহবধূ। যে নিজের সন্তানকে কখনো প্রতিবন্ধী বলতে পারে না।



তোফায়েল আহমেদ এবং জাহাঙ্গির কবির নানকরা যখন বলেন, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংবিধান রক্ষা করা হয়েছে। ঠিক তখন মনে পড়ে, মাধ্যমিক স্কুলে পড়াকালীন সময়ে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে সংবিধান নিয়ে অনুচ্ছেদটির কথা। “সংবিধান তৈরী হয়েছে মানুষের উপকারের জন্য। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়”। তাহলে কি এই শিক্ষাটি ভুল?

বিশাল লাইন অতিক্রম করে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তুললাম। ভোটার হয়ে গেলাম। ভাবলাম, যাক এইবার তাহলে আমার মতামত দিয়ে দেশের কোন অংশে সামান্য হলেও ‍ভূমিকা রাখতে পারবো। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি। সেই আশা আর পূরণ হলো না। ৪ বছর আগে ভোটার তালিকায় ভোটার তালিকায় নাম উঠলেও আজ অবধি জাতীয় নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকারখানি প্রয়োগ করতে পারলাম না। মাঝখান থেকে চলে গেল ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।



এতোকিছুর পরও ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নাকি ‘গনতন্ত্র’ কে রক্ষা করেছে। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনই নাকি দেশের যুগান্তকারী ইতিহাস হয়ে থাকবে। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নাকি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এসব আমার বক্তব্য নয়, জাতির আব্বুর বড় কন্যা কথা। তার এইসব কথা সাংবাদিকরা শোনে আবার বিরাট আনন্দ নিয়ে পত্রিকায় লিখে দেয়, ৫ জানুয়ারী নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট করে থাকে। কিন্তু ৫ জানুয়ারীর কি ইতিহাসের যুগান্তকারী অধ্যায় নাকি কালো অধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত আগামী প্রজন্মরাই গ্রহণ করবে। আপাতোত সাংবাদিকদের এমন তেলমাখা রিপোর্ট মানুষ আর গ্রহণ করে না। বরঞ্জ কারো যদি মন খারাপ থাকে হাসির একটু প্রয়োজন হয়, তবে আজকাল পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে মানুষ চরম বিনোদিত হয়। তাই এখন আর গোপালভাঁড়দের প্রয়োজন পড়ে না। এখন সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বড় গোপালভাঁড়।

যারা এই রিপোর্ট করে থাকেন সেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়, ভাইসাহেব! আপনি কি আপনার ভোটটি দিতে পেরেছিলেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×