ডেইলি সানের ভিডিও পেজে আজ পুড়ে যাওয়া একটি
কোয়েলাকে উদ্ধারে একজন অষ্ট্রেলিয়ান নারীর
তৎপরতা দেখছিলাম। ধূয়া আর ধূমের মধ্যে থেকে
মিডিয়ার বাহারী ক্যামেরাগ্রাফির কূয়াশায় তার এই
মহত্ত্ব পৃথিবীব্যাপি বাহবা’র জৌলুসে ঘৃতাহুতি দিচ্ছিল, সময়ব্যাপি-
আহা! কতটা দরদ আর প্রাণীপ্রেমের দূরন্ত আয়োজন!
মানুষের বিবেকের এ এক সুপ্ত অভিকর্ষ-
সুসভ্য বৈভবের মধ্যকার অমিয় বৃত্তান্ত;
অথচ, বহুদিন ধরে আমার চোখ পুড়ে যাচ্ছে মানুষের চামড়ার লেলিহানে-
আমার ঘ্রাণশক্তিকে উপেক্ষা করে বারুদ আর বুলেটে
নেমে আসছে মানুষ পোড়ার জান্তব দহন-
বিবেক মহাজন তালাবদ্ধ হয়ে হাতড়াচ্ছে ব্যাকুল হয়ে
বিলুপ্ত প্রহেলিকা!
তাহলে কি শুধু জমানো রসদের বিনিময় আমরা চাইছি সমগোত্রীয় সমকাম!
বিপন্ন মানুষেরা আর নয় কোন প্রথাগত প্রাণদ;
তাদের বিস্ফোরিত পুজ হাডসন নদীতে ধুয়ে আমরা
মাখছি সভ্যতার পারফিউম!
তোমাকে প্রশ্ন বিবেক, তোমাকে আমি শুধু মাংসপিন্ড
না ভেবে ভাবছি প্রভেদের নিক্তি আর সহমরনের
এ্যাটোমিক পিরানহা!
আমি জানি এ প্রশ্নে ঘুমন্ত তুমি এবং তোমার সারথীবর্গ
নিরবতা ভালো থাকার আশ্চর্য ভাগফল ভেবে
আবারও চোখ বুলাবে ডেইলি সানের মানবিকপর্দায়-
অথচ অজস্র ঘৃণা নিয়ে আফ্রিকা আর মধ্য এশিয়া মেতে থাকবে তোমাদের
সৃষ্ট প্রথাগত যুদ্ধবিহারে-
যারা তোমাদের সমগোত্রীয় নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০