নিকষ আধার মানে নক্ষত্রহীন বাতাস-
কয়েকটা দাগকাটা ফিকে মেঘ, দেখা যায় না যার পরিধি; শুধু অনুভবের-
এখানে মেঘ ছিল, যখন আলো ছিল অপরাহ্নের।
সেই অন্ধকারে বসে আছি। অগস্ত্য মুণির মতো দিব্যধ্যানে-
বিপরীত চোখে দেখছি মানষিক যোগাযোগ,
অতীত কামড় দিয়ে ব্যস্ত নিরেট পথে হাটা।
খসে পড়ছে মানুষের কাম-
ব্যবচ্ছেদের সালোকসংশ্লেষণে পাতা পাতা হিরন্ময়।
এ আধার হৃদয় বোঝেনি
বুকে হাত রাখা বয়সী মানুষসব,
আপেলের বীজ জমিয়েছে হিসেবের বায়ূমুখে,
যেন তড়িৎ সংক্ষেপনে নিভাতে পারে জীবনালোক।
কেউ ‘তুমি’ বলে আশা রাখেনি বৃক্ষমাস্তুলে
যখন হেরা গুহার বহি:মূখে ছয়শ’ ডানার দিব্যজ্ঞাণ
জ্যান্তকোষ ভেদ করে নিহারিকায় প্রণাদ তোলপাড়-
আমি আকাশের স্তর ভেদ করে দেখে নিই আলোকের রূপ।
আধারে বসে থাকা মানে আলোকের গভীরে ছুড়ে দেওয়া প্রহ্লাদ বাসনা।
আলোর প্রত্যাশা মানেই সবুজ কিছু বাষ্পসংকেত।
মানুষের হেরে যাওয়া মানে আদীমতম বাজীকরের নির্দয় শ্বাস;
যখন ভুলেছিল গন্ধমের মরুৎ কামনারাশি- প্রার্থণার চেয়েও সুগ্রীব!
আধারের অহংকারে অঙ্গার সেই ক্ষমাহীন কায়
না দেখা মেঘদল ছুড়ে দিলাম ঘৃণার দোলকে
প্রতিটি স্তবকে নামুক মুক্তির পয়গাম-
অশোকস্তম্ভে ফুটুক সাম্যের বিলাপ।
মানুষ তবে সম্পুরক ভাবুক মানুষের প্রভেদ-
আধার যবে বিদীর্ণ হবে নক্ষত্রের স্বচ্ছতায়।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫