হাইড পার্কে যেদিন এরিক ক্লাপটন গেয়েছিলেন,
সে সন্ধ্যায় খুব বেশি উন্মাতালে কার্লোস সান্টানার গিটার ঝড় তুলেছিল ঝটকায়।
আমি পূর্বদেশীয় চোখে বারুদ আর প্রেমে তোমাকেই ভাবছিলাম, তখনও!
বয়সটা ছিল পনের’র অবুঝ সন্ধিকাল-
প্রায়শ: বিকেলে উর্মিলা চোধূরী শুনতে শুনতে দরোজার ওপাশে রাত নেমে আসতো-
মাঝরাতে ঘুম ঘুম চোখে ঘুমান্ত শহরের রুপালী রাত অজান্তে ভর করতো সারারাত-
খুব মনে পড়ে, কষ্ট পেতে ভালোবাসি শোনার জন্য বন্ধুর বাড়িতে কাটিয়েছি নির্ঘুম রাত।
বুয়েটে খুব বেশি কনসার্ট হতো- এল আর বি আর ফিলিংস ছিল প্রথম পছন্দ তাদের;
কতসন্ধ্যায় নীল বেদনায় হারাতে হারাতে মাথার উপর চাদ মামাকে নিয়ে হলে ফিরতাম-
আমাদের ছিল কিছু কথা, কিছু স্মৃতির পোকার অবোধ্য ঘোরতমশা-
নিশ্চিত টগবগে যৌবন আর ‘পালাতে চাই’-এর মতো মাতালতা।
প্রেমিকার উপহারের মোড়কে পেয়েছি- তারাভরা রাত, কেউ সুখী নয় কিংবা স্বপ্ন’র মতো অবাক উষ্ণিষ!
হাইড পার্কে আমি আসলেই আইয়ুব বাচ্চু শুনেছিলাম-
সেই সন্ধ্যায় সান্টানার মুখে আমি খুব চেনা সেই অবায়ব রেখে বলেছিলাম:
আমার কাছে ফেলে আসা সেসব সময়েরা মহার্ঘ আর অপ্রতুল -
একদিন ঘুমভাঙা শহরে যে মাধবী স্বপ্ন দেখে তা যোজন দূরেও আমাকে মাতিয়ে রাখে জলজোছনায়....
একটা অধ্যায় ফস করে চলে গেল গতকাল
একটা সময় দম ফুরিয়ে নিভে গেল অন্ধকারে; অথচ
আমি ইউটিউব ভর্তি আইয়ুব বাচ্চু নিয়ে অশ্রু ফেলছি অজান্তে।।
১৯/১০/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৮