কান্না আসে জানো, ভোরে-
শীতল পথ ধরে যখন একদম একা আমি হেটে যাই
চোখ মুছি উল্টো হাতের আঙুলে, আনমনে
যখন স্তব্ধ পারিপার্শ্বিক!
শোকের নকশীকাঁথা যে বিষাদ সুতোয় বোনা,
তার রঙ তোমার চোখের তারার মত ধূসর-
আমি ক্রমন্বয়ে তুহিনপ্রপাতে মেলে রাখি দীর্ঘশ্বাস;
একটি হালকা দ্যুতি পাঠিয়ে দিই, তোমার ভুলে যাওয়া
ঠিকানায়। যেপথে, ভোরে আমি তোমার জন্যে
অপেক্ষা করতাম- ভালোবাসা নিয়ে!
আসলে আমার কান্না কি তোমাকে না পাবার বেদনা,
নাকি সেই আশাহত সময়ের প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস হারিয়ে
ফেলার ব্যাকুলতায়! আমার দু’চোখের প্লাবন কি একা
থাকার নিগ্রহ, নাকি তোমার বিচিত্রসব শল্কপত্রের দহন!
কখনও তোমাকে খুজিনি আর; অথচ যাপিত সেই সময়ের
প্রতিটি ছায়াচিত্র ভর করে কখনও আলোয়,
কখনও অন্ধকারে। পার্থিব সকাল এগিয়ে চলে যায়
তীর্যক মধ্যাহ্নে; আমিও বিভ্রমে আবার ইর্ষাতুর হই-
কচ্ছপের খোলসের দূর্লভ চশমায় আড়াল করি মানবিক দূর্বলতা।
কান্না আসে জানো, মধ্যরাতে
ঘুম ভেঙে গেলে। স্বপ্ন ভেঙে গেলে।
নৈ:শব্দ ভেঙে গেলে। অন্ধকার ভেঙে গেলে।
এ বেশ অন্যজীবন, আলো আর আধারে সমানতালে
নিমগ্ন থাকা; শব্দ আর নৈ:শব্দে বুদ থেকে
বিষাদবুননের নকশিকাঁথায় আত্মগোপন।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১