আকাশে রোদ্দুরের কষ, কর্কশ দু’একটি মেঘ
আকাশে অজস্র জলকণা, অস্বচ্ছ পান্ডুর-
তোমারও জলদ মনে- গম্ভীর শোকাভূত আধার
দু’একটি টোকা দিলে যেন, ফেনীল হয়ে যায়
বিষাদী উচ্ছ্বাস;
মায়েস্ত্রো জলোশ্বর, কালের নিলীমায় লিখেছেন-
দ্রোহের অনুবাদ; যেখানে রোদ্দুরের কষ শুকিয়ে কিম্ভূত
কালি, বর্ণের সকাশে ভবিতব্য নিলাম, আর কোন
ব্যতয় থাকে না।
আকাশে পিগমী নোটবুক, রঙিন আরাম কেদারায়
সুঠাম শরীর; আকাশের বমন অস্তিম;
মায়েস্ত্রোর ইশারায় ভেঙেছে কলমের নিব-
তোমার জলদ মনে শোকেরও অধিক হাহাকার
যেখানে দ্রোহ ছিল, সেখানে ক্রোধের সরিসৃপ-
পিগমী নোটবুকে বাহারী নকলনবীশ আকছে, সমুদ্রের
কথা, বৃষ্টির কথা- মুষ্টিজাত; যেন কারুনের উটগুচ্ছ
চাবির খোজে দেহাতি পাথরমানুষ; কৃষ্ণবর্ণ- গম্ভীর!
আকাশে পিরামিড চোখ, বাতাসে সালফিউরিস ঘ্রাণ
মনে এবং মগজে মায়েস্ত্রোর তর্জমা, অনুবাস;
পাতালে পদগুচ্ছ শোভিত সকালের দিগদারি, বিনম্র- বিষুব।
আমি কোথায় পালাই বলো, কোথায় জমা রাখি
মায়েস্ত্রোর দীর্ঘশ্বাস- আমি কত দূরে যেতে পারি বলো
যখন পুরোটা পথেই কথক মন্ত্রের অযুত বিহার!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯