বিপ্লবী ঘুমিয়েছে বলে, তোমার তো জলাতংক নেই
অন্তরে বুনিয়াদি চে’ কাতরায়; কিছুটা শোকে দূনির্বার
আশা’র মতো কাচকলা ঝুলছে ট্রাকের পিছনে
মানুষের সুমহান কসরতসমূহের উল্টোদিকে;
তুমি একলাফে আকাশগঙ্গা পার হও
তুমি একঘুমে পুরোটা পার্বনে থাকো নির্জীব, শুধু
কোন দুধপোড়া কটুগন্ধে তোমার সবকটা লোমকূপ
খুলে বাষ্প বের হোক; অভ্রভেদী চে’র হুংকারে বাজ
পড়ুক চাতালের সব গোয়ালঘরে যেখানে যিশুও জন্ম
নেয়, গাইয়ের পুরুষ্ট উলানে ভবিষ্যতের পনির;
অপেক্ষায়।
বিপ্লবের খরচে দুধের বাজারে চড়া কলোরব
ঘুমানো পুরুষ আলখাল্লা টেনেছে মধ্যম হৃদয়ে
জাগতিক স্বাচ্ছন্দে বিহ্বল ভোগবাদের খানাখন্দক,
খানাতল্লাসির পর যেমন দৃশ্যমান অন্দরমহল।
তুমি নাভীমূলে কৌতুহলে ১৪ টা আরোগ্যসূচ ফোটাও
তুমি লাল কাপড়ের বেহুদা নিশানায় একটি তারা আকো
তুমি বলতেই থাকে এটা অন্যায়- গর্হিত;
অন্যটা ভবিতব্য
তাই তোমাকেই বলি:
দুধ দোহানের অবসরে যে ক’ফোটা চোনা তুমি নির্গত করেছ স্বস্তিতে;
আকাশে যখন সীমাহীন দুপুর-
তোমার চোনারঙা গন্ধ চেনাবে কোনটা আবির, আর অবশিষ্টে নিষাদ।।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭