অনেকেই সকাল নিয়ে আলোচনা করে
কেউবা হারায় অপরাহ্নে-
সন্ধ্যের মেঘমালার লালাভবতায় কেউ উদগিরন করে
মৃন্ময়ি শায়ক;
নুড়ির বিভ্রমে কেউ হয়ত পনিরের মতো আকাশ ছানে
বিষাদে, বিষুবে-
কেউ মাঝরাতে পাতা খুলে তুলে নেয় অযুত শোকমালা
যাতনার অনিশ্চিতে দাহ করে এককালের নি:শ্বাস;
দূরে শাদা শাদা হাওয়াকলে বাতাস লেগে শনশন
তিনটি সবুজ পাখার অচেনা বাতিঘরে নীলাভ অনুক্রম
হীম বয়ে যায় ভেজা ছাউনির জংধরা বাতায়নে;
জ্বলতে জ্বলতে দপ করে নিভে যায় কেউড়ার লন্ঠন
উত্তরসাগরের মাঝখানে একচিলতে সুন্দরবন-
কেউ পিরানহা’র গম্বুজ মুখে ছুড়ে ফেলে অঙ্কশায়িনীর
কোমল রতি:
রাতের সাথে এ এক অবাক সন্ধি, মানুষের-যন্ত্রের!
কয়েকটি বিকাল আমি শালপাতায় মুড়ে রেখেছি
সংরক্ষিত পাতাল-কুঠুরীতে
কয়েকটি নিভাজ ভোরে আমি উড়িয়েছিলাম বিষন্ন সংকেত
যেখানে নামানুষ নাযন্ত্রের করোটির কিছু প্রকরণ ছিল
রাতের বুদবুদে আমি শুধু মেলে ধরেছিলাম জোনাকির ফানুস;
তারপর, একে একে অন্যের হয়েছে সেসব দিনযাপন
এরপর, বিলিয়ে দিতে দিতে গচ্ছিত বারুদের রাত শেষ
প্রণয় এখন খুব অবাক আর দূরগামী নক্ষত্রের অকিন্চিত আভা,
বেমালুম ভুলে যাওয়া নষ্ট-স্বপ্ন!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪