শব্দের কোন সীমানা নেই, বৈসাম্যের সকাশে
মৃত্যুর কোন ব্যত্যয় নেই এই অপরাধের অরণ্যে, যখন
দহন আর অসংযম পরস্পর একই পরাগায়নের সম্ভূত
আমি যতটা দূরে নিরাপদ গোলার্ধ, সেখানে বসে
কান বাড়িয়েছি ২০১১ রুমের জমাট হুংকার আর চাপা
আর্তনাদে; আমার কান অত:পর তার শ্রবণশক্তি হারালে
আমি হাত পাতি সংরক্ষিত অশ্রুর লবনাক্ত ধারাপাতে-
আর আমার অস্তিত্ব টলে উঠে, আমার মস্তিস্ক অপরিচিত
ঘ্রাণে সনাক্ত করে পরাহত রক্তক্ষরণ!
পশু হয়ে জন্মায় যারা- অথবা যারা জন্মে পশু হয়ে যায়
তাদের সম্মিলিত আয়োজন অযুত নক্ষত্র নিস্প্রভ করে;
এখানে কান্নার কোন কোরাস নেই, শুধু কয়েকটি নিহারিকা খসে পড়ে রাতান্তে;
ক্রমাগত শোক নেমে আসছে শোভিত এ কারাগারে-
আজ মানুষ শেকলে বাধা-
আজ পশুর নখরে পরিযায়ী ঘুংঘুর;
শব্দের কোন সীমানা নেই, তাই আমি শুনেছি ইথারে
সেই গুঙানি, অস্পষ্ট এবং রুধির-
ইথার কখনও জমা করে না বালখিল্য চলচ্চিত্র;
শুধু একটি বজ্রপাতের সাথে প্রেরণ করে নীলাভ বাষ্প-
দাম্ভিক পতঙ্গের এ বড় অদ্ভূত পরিণতি!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬