বহুদিন পর ফেসবুকে তোমার ছবি দেখলাম, সত্যি বলতে কি তোমার নাম আর ছবি দেখে আমি কিন্তু চিনতে পারি নি; পরিচয়সূত্র আর কিছুটা আমার ধারনা তোমাকে আমায় চিনিয়ে দিল।
সেসময় তুমি শুধু ডাক নামেই পরিচিত ছিলে আমার কাছে, অথচ তোমার পূর্ণ নামটাই জানার কোন বাসনা কিংবা প্রয়োজন ছিল না তখন যখন ভালোবাসা এসে দাঁড়িয়েছিল চৌকাঠে-
জীবন আর প্রেমের শুরুটা কিন্তু এমনই অগোছালো আর অপ্রত্যাশিত; আমরা জানিনা তবুও আমরা জন্মাই, আমরা ভাবিনা তবুও প্রেমে পড়ি, আমরা আরাধনা করিনা অথচ অদৃশ্যলোকে ক্রমশ: শুরু হয় নিয়তিযাত্রা।
তখন বিকেলগুলো গোধূলী নামে পরিচিত ছিল আমার কাছে, পাঠ্যবই-এ পড়েছিলাম গোধূলী খুব ক্ষণিক একটা সময়; আমি তার প্রমাণ পেয়েছিলাম তোমাকে দেখবার ক্ষণজন্মা বিকেলগুলোয়।
কখনও কি কথা হয়েছে আমাদের!
তুমি কি কখনও পরিপূর্ণ দৃষ্টিমেলে দেখেছ একবারও আমার কৌশরীক অবায়ব!
আমাকে কি চিনতে তুমি আসলেই!
আমি কিন্তু শুধু প্রেমে পড়তে হয় তাই অজান্তে তোমার এলোমেলো কুন্তলপাশে অকারনে স্পর্শ রেখে যেতাম; হয়ত তাই-ই তোমার চুলের শিশির, ভোর না হওয়া আবছালোকের কুয়াশা! প্রতিটি সন্ধ্যা আর সকাল, মানুষের আশার মতো মানবিক অপেক্ষা আমাকে বিদ্যুৎ আর বজ্রের ছলাকলা শিখাতো- অথচ আমার কিছুই করার ছিল না, তোমাকে একনজর আডচোখে দেখা ছাড়া। শুদ্ধ জীবনের শুরু আমাকে অপাপ এক কিশোর রেখেছিল শুধু, প্রত্যাশা আর বিপিনণ কখনও স্বপ্ন দেখাতো ক'টা চোখের মায়াবী বিভ্রম আমার হাতে হাত রেখে শুধু বলছে: আমৃত্যু উচ্চতাহীন মখমল সময় হবে একান্ত আমাদের!
আহা! অথচ তুমি জানো নি কিছুই; হয়ত তোমার চোখে তখন অন্যঘোর- পৃথুলা এক সবুজরাজ্যে তুমি কিছুটা পিংক আর রুপালী ফ্রকে কিশোরী উত্তাপ ধরে সময়মেহনে আকছো জীবনচ্ছবি!
আজ তোমার পরিপূর্ন ছবিটি দেখে আমি তোমার চশমার গভীরে সেই চোখ খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে পাশে বসা দীর্ঘাঙ্গী স্বর্ণকেশীর ফরাসি পারফিউমে বিবশ রইলাম।
আচ্ছা, ভালোবাসা কি উত্তাপ, আকাংখা নাকি অপেক্ষার আচানক ফাঁদ! আমি উত্তর খুঁজি না আর এখন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬