এক।।
সুধীন্দ্রনাথকে নিয়ে তোমাদের কর্কশ আলোচনা আমাকে
দারুন আশাহত করেছিল; শুদ্ধতম কবির এ বর্বর ব্যবচ্ছেদে
আমার কবিতাভাবাপন্ন হৃদয়ে হাহাকারের চেয়ে অধিক ভাবনা
এনে দিল- কোথায় চলছে আমাদের মনন, মন্তব্যের দ্বারে এ কোন
বিষাদী তালা; আরোধ্য সাহিত্যানুভূতি কি পূত-গন্ধময় নিউজপ্রিন্টের
দাপটে ইয়োলো ষ্টোরেজে দুঃখের ঘামে এফিটাপের পাথরে ম্লান আর
অভিমানে দূর্লভ পরাগ হয়ে রোলো!
হে কবিসকল! তোমরা যারা বাসে, পার্কে, বইমেলায়, ব্লগে অথবা ফেসবুকে
কবিতা ঝরাও, তোমাদের বিদগ্ধ হৃদকলমে অবাক সেই রাজপুত্রের
কবিতা ফলাও, শব্দ আর কাব্যসাহস যার পরিপূরক ছিল জীবনানন্দ অবধি-
সময় পেরিয়ে যা কবিদের অবাকপাঠ্য, সংকল্প আর যবনিকা
কবিতা সবার, কিন্তু কিছু কবিতা যা অতিঅনুভূতির শব্দমূলের আদিপ্রেরণা
গচ্ছিত সে মুক্তচ্ছটা তো কবিতার উত্তরাধীকার!
দুই।।
সব সত্যি ঘুমেরে আমি স্বপ্নের বালিশ বানিয়ে
কোলে কোলে ওমের বাথানে হরিদ্রাভ মেঘের
কালো কালো চূড়ায় সুর করে 'মেঘদূত' পড়তে
পড়তে আবার ঘুমাবো-
তুমি চুপচাপ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমার
ঘুমিয়ে যাওয়া বালিশে কিছুটা কান্না রেখে যেতে পারো
ঘুম ভেঙে আমি সকালের কফির সাথে অশ্রুটুকু খেয়ে ফেলবো
অমৃত ভেবে
ঘুমেরা স্বপ্ন হবে ঘুমালে পরাণ
অদ্যবধি তোমার না চোখ না ঘুম
আমার অপেক্ষার শ্বাসে
কিছুটা নরোম আরাম হয়ে আসুক
এ ঘুমঘুমানোর পদ্যে!
তিন।।
মেঘের ঘুড়ি উড়ে
তোমার পবন চোখে
মিথ্যে কথার সমান অনুতাপে
দুঃখসহ কষ্ট পোড়ে
অবাধ্য সন্তাপে-
তুমি শুধু আরাধনার ছবি
গভীর রাতে ভুলে থাকা
নিভানো মোমবাতি
আমার নিদ্রাহারা লালাভ চোখে
একটুখানি ওম
দামটা না দাও
বিষাদমালায় জ্বালাও যজ্ঞ হোম
হোমাগুনে দুঃখ পোড়ে, অবিশ্বাসও যায়
তোমার নামে শোকগাথাতে
বর্ণবাদের ক্ষয়
জয় চেয়েছে অন্যরকম শস্যক্ষেতের আলো
গাঢ় মেঘে নূপুর বাজে
তবু ঈষাণকোণ কালো!