সবুজ ঘাসের মায়ায়, শিশির ভেজা পায়ের পাতায়
আলতো মুড়ে থাকা আমার অবাক চাহনী
যদিও বা চুরি হয়
আমি বাঁধা দেবার আগেই যদি অনিবার্য নিয়তি
বগল খুলে দুঃগন্ধ ছড়িয়ে
আমাকে দুঃখিত করে, প্রাণটাকে ছিনিয়ে
দৌড়ুয় আকাশে
আমি কষ্ট পাবো তখন
তোমার ছোট ছোট অভিমানী পাহাড়ে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুদেয়াল ধরে কাঁদবো খুব
এ আকাশ আর দেখবো না জানি
পাখালীর কলকাকলী বধিরের উঙ্কার ভেবে
চাঁদ-সূরুজের পালাক্রমে অবাক মেঘ হয়ে ভাসবো না আকাশে
সব শেষ কি এখানেই, নাকি
দেয়ালের ওপাশে অপার্থিব নগর!
বিশ্বাস অবিশ্বাসের সাঁকো আমার শেষনিঃশ্বাস নিয়ে
মাতামাতি করবে তখন, যখন প্রবল আবেশ দেয়ালে
মাথা ঠুকে পাথর শূণ্যতা ছাড়া কিছুই পাবে না আর
তোমার খুব জানা নেই হয়তো
নিযুত তারার রাতে
শোকের সাথে নামে সাহসী সুবাতাস
সে বাতাসে কখনও বা গুঁড়িয়ে যায় অবিশ্বাস
মুছে যায় আঁশটে গন্ধের মৃত্যুবিভিষিকা
আমি ভাঙতে পারবো না এ দেয়াল
আমার সাধ্যও নেই পেরুনোর
তাই সুদিনের আশায় বসে থাকা
যদি সুবাতাসে উড়ে যায় অবিশ্বাস!