এক
প্রথাহীন সরোদ বাজায় মুনিয়া আবডালে
ছোট মাছ, কলমিশাঁকের ডাটা, কালো শ্লেটও
কখনও তখন কবিতার বিষয় হয়
ভাবনা, আহা ভাবনা
কবি 'ভাবনা কাহারে কয়' (!)
আমি শ্লোক ভুলে টুকটাক এ পদ্যশায়েরে ঝিমুই
অবিকল মাছরাঙাটির মত
ইথার উথার তোমাদের থাক
গোশতে চর্বি আর লাস্যময়ীর চাকু বুকে নিয়ে
আলাদিন কর্পোরেট চাকরী খুঁজুক
কবিতা তো তাকে ছাড়েনি এ অব্দি
মুনিয়ার সরোদ রোদে পুড়ে কালো হোক
রাতে ঢাকা হাউজিংএর সব আলো হবে চুরি
বিনম্র ভালোবাসা তখন চুইয়ে নামবে
হারানো প্রেমে, পুরানো ফ্রেমে; আহা!!
দুই
কখনও ভাবনামন
কখনও যাতনাময়
কখনও মেঘলাকাশ
নীলাভ সবুজ মনে হয়
সবুজের দেশে জন্ম আমার
পতাকায় শুধু লাল দেখে দেখে
উপশম দিয়েছি নিজেকে আবার
ভেঙে দুয়ার, ভেঙেছি বাঁধ আকাশময়
তবু জেনো কখনও ভাঙিনি হৃদয়
সেই সাধারণ এই মানবিক আমার
হৃদয় ভাঙলো শেষে
অজানা প্লাবন এসে
ঝড় হলো তারপর
ধুয়ে যাবার বৃষ্টি, মুছে যাবার ঝড়
বড় বেশী প্রবল ছিলো বাতাসের বেগ
এখনও আমি দেখো নীলিমায় পেরেক পুঁতে
আকাশটার কান ধরবো আবার
অহেতুক সন্দেহে
অকারণ বিষ্ময়ে
জন্মভূমি আরও লাল হোক
কাঁপুক শব্দদানব
বেশুমার মরুক লোকে
আমি ঠিক ঠিক আচানক সুখী
দূয়ারে ঝুলছে ফ্লাগ
ঝুলতে দাও মাসকাবারে
ঝুলে ঝুলে ঝুলে সেও
আমার মত হবে হয়তো
অথবা
সত্যদানব বোধের পাঁচিলে
ফোটাবে না দেশপ্রেমের গান
লালে নীলে সবুজ ভূমি
কলকলে ধরবে তান
মৃত্যুরা আজ আকাশগামী
নক্ষত্র বিরূপপ্রাণ।।
তিন
কখনও সজীবতা মধ্যাহ্নবালকের মত সবুজ কেড়ে নেয়
যখন ঘরদোর খুলে আমি দৌড়ুই উধাও মেঘের সম্ভূক নীলে
ফেরে না সে তস্কর যদিও
ভারী জলদ জিঘাংসা পাতালতা বেঁধে পায়ে তার মান ভাঙায়
আমার কোন অংশগ্রহন নেই এ উচ্ছাসে
সবুজনীলের পূর্ণযৌবনেও ক্ষুধা চাপেনা পান্ডুর পাতলুনে
শস্যদানা ঘেষে পথ আছে এক, দূরত্ব আজ কলাহীন বিশদবর্ণন
এ দূরত্বে পা ফেলে আবারও গতি ফিরে পাবো জানি
মেঘলা মনস্তাপ পিঠে বেঁধে কমলা শাড়ীর যৌবন রুখি চলো
আশায় থাকি দেশবিদেশের মেঘ রঙকানা হবেনা কখনও............