বেদনার ত্রিভূজ মনে জমেছিলো আত্মজ খেদ
পৌষ মাঘে জরায়ুর টানে নেমে আসা অসহায় ফুলনাড়ীও কাঁদে
বড় ক্ষত, জ্বালায়।
এই সে পাপী হাত, সোহাগের মত যা অবিরল ছিল বছরের শেষ মাসের
আলতো সন্ধ্যায়; অলক্ষ্যে মতিভ্রমের দায় বড় বেশী দেনা হয়ে
ফোটে;
এ আমি নষ্ট নই, এ আমি পষ্ট মানুষ যে কোকাকোলার বোতল থেকে
তোমাকেও কিছুটা তরল দিয়ে ভোলাতে চেয়েছিল শ্যামল সে নিতম্বখানি;
আমি শুধু জানি না তুমি বিভ্রম চাহনীতে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছিলে
ক্ষয়ে যায় চাঁদের জোছনা
না হয় নই আমি স্বপ্নপূরুষ
তবুও নক্ষত্র হবার প্রেক্ষণে এমন বেভুল দেহরেখায় কেন তুমি এসেছিলে
সে সন্ধ্যায়; ভোলাতে আমায়!
কোন দেয়াল রাখোনি যদিও তবু কেন মধুপান করা হলোনা আমার
শোকে, তাপে!
পরদিন তো আমি ডুকরে কেঁদেছিলাম তোমার অদেখায়
শরীর আর শরীর, কোথায় তোমার মন!
জীবনের পরে জীবন রেখে হাসবো কিছুক্ষণ
নষ্ট হবার মৌসুম যখন পেরিয়েছি, স্পষ্ট কবি হবো তখন
দারুন কাব্যে নিভাবো আগুন, অতুল প্রত্যাখানের।।