সামুরে সামু ও সামু,
কখন বল তোরে পামু!
আজকের এই পোস্ট প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত উপরের লাইন দুটোই ছিলো আমার উক্তি। একটা বছর নানা চড়াই উতরাই পার হয়ে যখন লিখনির অনবদ্য ছোঁয়ায় সামুতে পদচারণা করতে চাইলাম, সামু তখন স্ট্রেট আমাকে নিষেধ করে দিলো ।
বললো-
আমার ব্লগ নাকি অন্য কেউ ব্যবহার করছে। মাথা গেলো হ্যাং হয়ে। বহুদিন পর লিখনি পোস্ট করার জন্য যখন আকুলি বিকুলি করছি, তখন সামুর এহেন অদ্ভুত আচরণ কেমন লাগতে পারে? নানা দিকে লম্ফঝম্প শুরু করলাম বেপরোয়াভাবে।
তখন সামু বললো- নতুন করে লগ ইন করুন। হায় আল্লাহ লগ ইনেও আমি বৃষ্টি বিন্দুর, বিন্দু পরিমান জায়গা নেই।
একবার মনে হলো ডিভাইসটা আছাড় মারি, আবার মনে হলো সামু যদি একটা জলজ্যান্ত গিনিপিগ হতো তাহলে গলাটা টিপে ধরতাম, নাহয় পাগল বিজ্ঞানী দিয়ে পাগলা এক্সপেরিমেন্ট করাতাম, অত:পর প্রচণ্ড অভিমান হলো।
অদ্ভুত হলেও সত্য যে লিখনির স্রোত সবার সব সময় আসেনা। লিখনি যখন আসে তখন বাধার সম্মুখিন হলে লিখনিরা দৌড়ে পালায় অজানা অচেনা ডায়েরীতে, যার হদিস পাওয়া দুষ্কর। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না। আমার লিখনি দৌড়ে পালালো ভিরুতা নিয়ে কি জানি কোথায়!
লিখনিতো নিরুদ্দেশ হলোই, তবে সামু আর আমার কি হবে? অবশেষে শুভাকাঙ্ক্ষী ছোট ভাই এর উছিলায় আল্লাহর মেহেরবানিতে সামুতে আমার আমিকে আবারো দেখতে পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ খুশিটা হলো এরকম-
আহারে আহা!
এ কি বৃষ্টি ঝরা ভালোবাসা!
দোয়া করি-
নাহয় বছর পরেই আসবো ফিরে
সামুর সাথে নিজের ব্লগে,
হয়রান করোনা থাকতে চাই
শেষ পর্যন্ত তোমার সংগে।
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭