(পুরুষজাতিকে উৎসর্গ করে আজকের কবিতা)
অমানিশার তৃষ্ণা
~~~~~~~~~~
একাকীত্ব,
একটিমাত্র শব্দ,
অথচ স্থায়িত্ব অনাদিকাল জুড়ে।
প্রেম ভালোবাসাও তার কাছে হার মানে।
জোড় বাঁধা দুটো মানব মানবী
শুধু সামাজিক টানাপোড়নে,
বন্ধনের মঞ্চে অভিনয় করে।
ভুল বুঝা আর আত্মঅহমিকার সংঘাতে
যোগ হয় এক অদ্ভুত একাকীত্ব!
থেকেও না থাকার একাকীত্ব!
মানবী ব্যস্ত হলো স্বামি সংসার পরিজনে,
এতো ব্যস্ততাতেও সে একাকী রমণী!
তার একাকীত্ব বুঝে কয়জনে?
আচ্ছা, অনেকেরতো বোঝার দরকার নেই...
যে মানুষটির হাত ধরে নতুন ঘরে পা দিয়েছিলো,
সে কি তার অর্ধাঙ্গিনীকে বুঝতে পারে?
সারাদিন সংসার নিয়ে ব্যস্ত রমণী কতটা একা
সে কি তা বুঝতে পারে!!!
নাকি সেই রমণীর একাকীত্বই নেই!
সে আছে রাণীর হালে।
শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা!
বাহ বেশতো আছে!
এইই ঢের...
হা! হা! হা!
কিন্তু যে মানবী সন্তানের সুখ থেকে বঞ্চিত,
তার একাকীত্বকে তুলনা করবো কিসের সাথে?
যে মানবী নয়টা-পাঁচটা অফিস এর পরেও-
স্বামী, সন্তান আর সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়,
একাকীত্ব এর ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে,
তাকে তুলনা করবো কিসের সাথে?
নারীইতো নারীর ভেতর ঢুকেনা,
পুরুষ কি দেখবে, আর কি বুঝবে?
লিখিকার লিখনীতে,
অন্তর্নিহিত কথাগুলো উঠে এলে,
পুরুষেরই বাহ বাহ ধ্বনিতে মুখরিত হয় সাহিত্যজগৎ।
অথচ সেই পুরুষই তার নিজের গৃহে,
একাকীত্ব এর শৃংখলে কাউকে আবদ্ধ করে রেখেছে কিনা,
সে খোঁজ কি নেয়?
নাকি নেয়ার প্রয়োজনই মনে করেনা?
সাহিত্যজগৎ এর কথা নাহয় থাক,
কয়জনইবা সাহিত্যচর্চা করে!
কথা বলি সাধারণ মানুষের...
ওরা কী করে?
পুরুষত্ব দেখানো আর বাইরের জগতে আড্ডাবাজীতেই মত্ত!!!
ঘরের ঐ একাকী নি:সংগ অপেক্ষারত,
মেয়েটির কাছে তার আসা কি কারণে?
জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য?
নারী কি এজন্যই এসেছে পৃথিবীতে?
তার আমিত্ব, তার নিজস্বতা, স্বকীয়তা সবই কি,
ঠুনকো ভংগুর ক্ষণস্থায়ী কাঁচের মতো?
এটাই বাস্তবতা, রূড় সত্যের অমানিশা!
শত ইচ্ছের জলাঞ্জলি আর ঘুটঘুটে অন্ধকারে
বার বার মৃত্যুর তৃষ্ণা!!!
ছবি: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২২