somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরম্পরা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্বপ্নরা কি সবসময় অবয়ববিহীন? পদ্মের কাছে অন্ততঃ নয়। কখনো বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে স্বপ্ন, চুল থেকে গড়িয়ে চিবুক বেয়ে সারা শরীর ছোঁয়, হিম হিম ভাললাগা নিয়ে বুকে আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ। কখনো পেঁজা তুলোর মত, গোলাপি অথবা শাদা কটন ক্যান্ডি যেন, লম্বা কাঠির ওপর ফুলে ফেঁপে আছে-- আলতো ছোঁয়াতেই চুপসে যায় আবার। নির্জনে কখনো তারা অক্ষরের লাল সকার বলটির মত ধীরে গড়িয়ে আসে; বোলিঙের বল হয়ে ধেয়েও আসে কখনো কখনো, ভাবনার পিনগুলোকে অতর্কিতে অতলে ছিটকে ফেলে দেয়।

পদ্মের সাদাসিধে ভুবনে এরকম বিভিন্ন আকৃতির স্বপ্নেরা এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গোলাকার, তিনকোণা, বাতাসে পাখা মেলে দেয়া উড়ন্ত সীগালের এইমাত্র গুটিয়ে নেয়া পায়ের মত, কিংবা চলন্ত বোটের পেছনে ফেলে যাওয়া কিছুক্ষণ তিরতির করে কাঁপতে থাকা জলজ রেখার মত-- কিছুক্ষণ পরেই যার অস্তিত্ব আর টের পাওয়া যায় না। সেই কোন সুদূর অতীতে তার মা সুলতানা একদিন, পদ্মের ভাসা ভাসা চোখের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন, "কি ভাবিস এতো? সারাক্ষণ?" বারো বছরের পদ্ম কি সেই প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারে? তাহলে মা'কে তো বলতে হতো--" কতো কিছু ভাবি, মা! এই মুহুর্তে আমার প্রিন্স চার্মিং ফয়সাল আবীরের কথা ভাবছি। সেই ফয়সাল, শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় ব্যাডমিন্টনে যে জাতীয়তে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল গতবছর। তার সাথে সেই খেলার সীজনেই পরিচয়! মেয়েদের বিভাগে যখন রানার-আপ হয়ে খেলাশেষে সিঁড়িতে বসে কেঁদে কেটে বুক ভাসাচ্ছিলাম, কেমন অদ্ভুতভাবে আমার দিকে শুধু তাকাচ্ছিল সে! একসময় পাশে এসে বসলো, তারপর জানো! তার চেয়েও অদ্ভুত একটা কথা সে বললো হঠাৎ করে! তবে কথাটা কি--তোমাকে কিছুতেই বলা যাচ্ছে না, মা!"

সে কথাটি শুনে আলোড়িত হয়েছিল পদ্ম-- কান্না থেমেছিল তখুনি। সংগোপনে একদিন তাও স্বপ্ন হয়ে গেলো-- লং বীচের খোলা সমুদ্রতীরে এই পড়ন্ত দুপুরে এতদিন পরেও, একটি গোলাপের সুগন্ধ নিয়ে সেই স্বপ্নটি উঁকি দিয়ে গেলো। একঝলক। পাশে অক্ষর খেলছে মাটিতে আঁকিবুঁকি কেটে। অফিস থেকে অপুর বাসায় ফিরতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে। ঘরের টুকটাক কাজশেষে তাই সময় পেলেই এই বীচে অক্ষরকে নিয়ে চলে আসে পদ্ম। দূর থেকে লাইট হাউজটা দেখা যাচ্ছে -- মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে, কি নিঃসঙ্গ-- কত শত রকমের বোট, শিপ আর ইয়ট প্রশান্তের প্রশস্ত বুক জুড়ে! এই লাইট হাউজ তাদের যাওয়া-আসার নীরব সাক্ষী। ডকে বাঁধা জাহাজ থেকে নেমে এই বীচে নাবিকেরাও দলবেঁধে ঘুরতে আসে-- কথায়, পোশাকে তাদেরকে সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়। বেশ কিছুদিন আগে এখানে একটি ছোট জাহাজ দেখে চমকে উঠেছিল, "বাংলার দামাল"। সবুজের বুকে এক লাল সূর্যের পতাকা মাথায় বেঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে চলছে কার্গো শিপটি। খালি পায়ে বীচের বালুর ওপর ছুটতে বেশ অসুবিধে, তারপরও, লম্বা সামার গাউনটা দুইহাতে তুলে একছুটে পানির কাছাকাছি গিয়ে লাফিয়ে দু'হাত নাড়তে নাড়তে চীৎকার করছিল পদ্ম, - হেই বাংলার দামাল, হেইইইইইইইইই!!! এইদিকে! এইদিকে!

-হোয়াট হ্যাপেন্ড মামি? অক্ষর মা'র পিছনে দৌড়ে এসেছে, হাঁপাচ্ছে, পদ্মের উচ্ছ্বাস দেখে বড় বড় চোখে তাকিয়ে।
-দিস শিপ'জ ফ্রম বাংলাদেশ, অক্ষর!!! বলতে গিয়ে উত্তেজিত পদ্মের খেয়াল হয়, ছোট মেয়েটাকে একা রেখে অনেকদূর চলে এসেছিল সে। এরকম ভুল তো কখনো হয় না ওর!

সেরাতে স্বপ্নেরা এসেছিল বাঁধভাঙা জোয়ারের মত। "বাংলার দামাল" কি সুদূর বাংলাদেশ থেকে বয়ে আনা কচি ধানক্ষেতের সুরভি ছড়িয়ে দিয়ে গেছে ওর মনে? অ্যালবাম থেকে কিছু ছবি বের করে সে। শাদা কালো ছবির দিনগুলোতে কি সুন্দর মা তার! সুলতানা খানম। শুকনো, লম্বা। মাথায় বড় বাহারি খোঁপা। বান্ধবীর সাথে একই চেকের শাড়ি পরে কোমরে হাত রেখে একইরকম দুষ্টু ভঙ্গিতে-- ক্যামেরার চোখের দিকে কাজলটানা চোখে তাকিয়ে দুজন। অলস ভঙ্গিতে বিছানায় ছবিগুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে উঠে বসলো পদ্ম, আজ নাহয় আব্বুর সাথে মা'র দেখা করিয়ে দেয়া যাক! পদ্মের ইচ্ছে অনুযায়ী ঠিক তখন, ঠিক এই ছবিটিই, উনিশ শ' সাতাত্তরের ফেব্রুয়ারী মাসের আট তারিখ অফিস কলিগ ব্যাচেলর শাহেদের কাছে পৌঁছে দিলেন আনিস সাহেব, সুলতানার দুলাভাই। এবার শাহেদের একা ছবির পাশে সুলতানার সেই ছবিটি রাখে পদ্ম... সারারাত শাহেদ ছবিটির দিকে তাকিয়ে, চোখে ঘুম নেই; ছবি দেখে কাউকে এতো আপন মনে হতে পারে জানতো না এই তেইশ বছরের যুবক। ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা দিবসের কথা তখনো জানা ছিল না - তবু সুলতানার সাথে প্রথম দেখা হওয়ার দিনে তাজা স্নিগ্ধ ফুলের ছোট একটি বুকে সাথে নিয়ে যেতে ভুলেনি শাহেদ মোটেও। বিয়ের ছবির সাথে আরও কয়েকটি যুগল ছবি বের করলো পদ্ম- আহা! সুলতানার লাজুক হাসি! শাহেদের দু'হাতের ভেতর তার হাত! পাশের ফুলদানিতে তাজা কাঠগোলাপের ডাল। ততদিনে জানা হয়ে গেছে, সুলতানার প্রিয় ফুল হলদে শাদা কাঠগোলাপ। সুলতানা-শাহেদের ঘর আলো করা সুখের মাঝে সেরাতে ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে সুখী হলো পদ্মও খুব-- "প্রিয় বাবা এবং মা, তোমাদেরকে এই বিয়ের জন্য অভিনন্দন! না হলে আমিই বা পৃথিবী দেখতাম কিভাবে!!"

এই যে আরেকটি ছবিতে, সুলতানা তাকিয়ে আছে কোলে একবছরের শুভ্র, পাশে তিনবছরের ন্যাড়ামাথার পদ্ম। পেছনের জানালার ডোরাকাটা পর্দার ফাঁকে রাস্তাটা ঈষৎ দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যেয় শাহেদ অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় সুলতানা এ জানালাতে অপেক্ষা করত। বাস থেকে নেমে বড় রাস্তার মোড় থেকে হেঁটে বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই না ঢুকতেই বাবার কোল দখল করা নিয়ে কি যুদ্ধ দুই শিশুর! দু'কোলে দুজনকে নিয়ে শাহেদও বেশ হইচই শুরু করে দিত-- সেইসাথে সারাদিন অফিসে কি কি ঘটল, চা নাশতা খেতে খেতে তার সবিস্তার বর্ণনা। সুলতানা গাইতে ভালবাসতো, রাঁধতে রাঁধতে, চুল বাঁধতে বাঁধতে, যখন তখন গুণ গুণ গান। এখনো গভীর রাতে পদ্মের কাছে ভেসে আসে মা'র কন্ঠের মিষ্টি সুরে গাওয়া ঘুমপাড়ানি গান, মাথায় কোমল হাত বুলিয়ে ... যেমন মনে পড়ে, একুশের ভোরে ফুল নিয়ে তাদের শহীদ মিনারে যাওয়া; দরদ দিয়ে সুলতানা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গাইছে,"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি... আমি কি ভুলিতে পারি?"

ভোলা সম্ভব নয় অনেককিছুই। এই ছবিটায় বোগেনভিলিয়ায় ঢাকা পড়া যে বাড়িটা দেখা যাচ্ছে-- সেটা পদ্মের থেকে তেরো হাজার কিলোমিটার দূরে-- বাংলাদেশের ময়মনসিংহে, এর প্রাঙ্গণে শুয়ে আছে সুলতানা বহুবছর যাবৎ। এই তো কিছুদিন আগে, ঊনিশ বছর পর সেখানে দীর্ঘদিনের সাথী শাহেদও গিয়ে হাজির হলো; সুলতানাকে বলল, "সরে শোও তো, কিছুটা জায়গা দাও। অনেকদিন পর তোমার পাশাপাশি আবার থাকতে এলাম। মন ভরিয়ে ঝগড়া করা যাবে আবার!" উপরের কাঠগোলাপের গাছটা ভালবেসেই কি কয়েকটা ফুল ঝরালো দুজনের ওপর? আনমনে ভাবে পদ্ম, এই এলবামে সেই কাঠগোলাপের কয়েকটা শুকনো ফুল যত্ন করে রেখে দেয়া আছে। গতবছর বাবা- মাকে দেখে এসেছে সে। পালটে গেছে অনেককিছু, বাড়িটাও আগের মতন নেই-মানুষগুলোও। কবর কি মার্বেল পাথর দিয়ে বাঁধাই হবে? আত্মীয় স্বজনের কেউ বলল- হ্যাঁ, বাবা মা'র স্মৃতিটা চাক্ষুস থাকুক। কেউ বলল, না- বাঁধাই হলে আত্মার কষ্ট হবে। দেশ থেকে আজ শুভ্রও ফোন দিয়ে জানতে চাইছিল। পদ্ম ভাবে, কি দরকার! ধূলোর শরীর ধূলোতেই মিশে যাক ধীরে ধীরে। মা-বাবা থাকেন সন্তানের বুকের ভেতর। পদ্ম বুকের বাম পাশটা তার ডান হাতের আঙুলগুলো দিয়ে ছোঁয়। আছে, তাঁরা এখানেই আছে। লাল সবুজের দেশটিও এখানে আছে। আছেন লালন, রবিঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দ, আরও কত শতজন! এখানে যাঁদের স্থান হয়েছে, কেউ হারায় না।

আজ অক্ষরের জন্মদিনের উৎসব। ছ'য়ে পড়লো সে। খোলা ঝকঝকে নীল আকাশ। গাছে গাছে রবিন আর স্প্যারোর হুটোপুটি আর কিচিরমিচির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অক্ষরের বন্ধুরা এসেছে, তাদেরকে বাবা-মা'রা নামিয়ে দিয়ে গেছে, সন্ধ্যে সাতটায় নিতে আসবে আবার। বাসার সামনের বিশাল লনে জাম্পেলিন, পেছনের পোর্চে টেবিল ভর্তি খাবার। বাচ্চারা হুল্লোড় করে খেলছে। এই শিশুদের ভেতর লরেন কিছুটা দস্যি, আকাশে ধীর গতিতে উড়তে থাকা প্লেনকে লক্ষ্য করে একটা টেনিসবল ছুঁড়ে মেরেছে। ইয়ে এ এ এ এ ... শিশুদের সম্মিলিত উল্লাস শুনতে পাওয়া গেলো... বলটা নাকি প্রায় লেগে গিয়েছিল প্লেনের সাথে ...

-কাম মামি, কাম! প্লিজ প্লে উইথ আস!!
-আমাকে মা বলে ডাকো তো অক্ষর! আর বাংলায় কথা বলো আমার সাথে, কেমন?
-মা, খেলতে এসো।

"মা, খেলটে এসো", "মা, খেলটে এসো"-- অক্ষরের সাথে সমস্বরে প্রতিধ্বনি করছে তার ভিনদেশি বন্ধুরা-- ডিল্যানি, লরেন, অ্যানালিন, ক্যামি, বিয়াঙ্কা, ম্যাডিলিন, বেলা, র‍্যাশেল, ডাগমারা, জর্ডান, ডেস্টিনি। কিছুক্ষণ আগে পদ্ম তাদেরকে কিছু কিছু বাংলা শিখিয়েছে-- আমি টোমাকে বালোবাসি... বাংলা শিখতে তারা সবাই খুব আগ্রহী। ড্রেস আপ করে র‍্যাম্পে মডেলিংয়ের পর এখন হাইড অ্যান্ড সীক খেলছে পদ্ম বাচ্চাদের সাথে-- ছেলেমানুষের মত ঝগড়াঝাঁটিও হচ্ছে মাঝে মাঝে।

ক্লান্ত পদ্ম একসময় ঘর থেকে দুটো বরফকুঁচি দেয়া স্ট্রবেরি লেমোনেড নিয়ে অপুর পাশে এসে বসে, গ্লাসে চুমুক দিয়ে সবুজ ঘাসে গড়ায়। দরজা দেখলে কেন যে মা'র কথা মনে পড়ে? কেন যেন মনে হয়, ভেতরে অপেক্ষায় আছে মা, কখন সে ঘরে ফিরবে। নিনির্মেষ সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে পদ্ম; ঠিক তখুনি, দরজা খুলে ঘর থেকে সুলতানা, পদ্ম, অক্ষর, অক্ষরের মেয়ে উর্বাণা একে একে বেরিয়ে আসে-- সমবয়সী সবাই যেন-- অপু কি দেখতে পাচ্ছে তাদেরকে? সুলতানার গায়ে পুরনোকালের জেসমিন সেন্টের সুগন্ধি, সোনালী রোদ্দুরের আশায় লনের এককোণে চুপচাপ নুয়ে যে ছোট সবুজ চারা গাছটি, তার পাশে হাঁটু ভেঙে বসেছে সে, শাড়ীর কুঁচিগুলো সুবিন্যস্ত, মিষ্টি কন্ঠে গাইতে শুরু করেছে, "বল, গোলাপ মোরে বল, তুই ফুটবি সখী কবে?" লনের আরেকদিকের সবুজ ঘাসে আরেক পদ্ম কবিতার একটি বই নিয়ে পাশ ফিরে শোয়। অক্ষরের পরণে জার্সি, তার লাল বলটা পায়ে নিয়ে ছুটছে, ছুটছে-- এক্ষুণি একটা গোল দিতে হবে! উর্বাণা, সুইং এ বসে মৃদুমন্দ দুলছে, ট্যাবে কোনো গেইম নিয়ে গভীর নিমগ্ন। পদ্ম উঠে ধীরে ধীরে তাদের কাছে যায়, খুব কাছের থেকে একে একে মুখগুলো ভীষণভাবে পরখ করতে থাকে।

-আমরা মেয়েরা স্বভাবে খুব একটা একরকম নই, তাই না? " নরম স্বরে অপুকে এসে জিজ্ঞেস করে পদ্ম।
-মোটেও একরকম নও।
-তারপরও, একটা মিল কিন্তু প্রবলভাবে আছে সবার ভেতর। বলো তো, কি সেটা?
পদ্মের হাত ধরে অপু, হাসিমুখে তার চোখে তাকায়। এই মেয়েটার উল্টাপাল্টা ভাবনার সাথে সে পরিচিত।
-সব মেয়েই মা। ভীষণ মা মা।

পদ্ম শুয়ে আছে ঘাসের ওপর, বুকের বাঁ পাশে ডান হাতের আঙুলগুলো ছুঁয়ে আছে। ভেতরের প্রাচীন বাক্সটার ডালা খুলে যায়, ফুরফুরে প্রজাপতির মত সেই বাক্স থেকে মা'রা সব বেরিয়ে আসে-- দুই, চার, ছয়, আট করে দ্রুত বয়স বেড়ে যেতে থাকে তাদের; ফ্রক-টি-শার্ট ছেড়ে তারা সালোয়ার-কামিজ পড়ে, তারপর শাড়ী; তাজা জেসমিনের সুগন্ধ নিয়ে তারপর হাসিমুখে তারা ছড়িয়ে পড়ে-- পৃথিবীর সবখানে-- সবকালে। চোখ বন্ধ করে পদ্ম, মুখে নির্মল হাসি, এই স্বপ্নটার অবয়ব খুব কোমল মনে হচ্ছে তার কাছে -- ঠিক যেন একটি হৃদয় আকৃতির গোলাপি বেলুন-- হালকা বাতাসে দুলছে, আর দুলছে।


(ঐহিক, একুশের বিশেষ মা-ভৈ সংখ্যায় প্রকাশিত। )
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×