আমি রূপা । দুঃস্বপ্নের সুবিশাল চিত্রে কোলাজের অংশটুকু আমারই
আঁকা ছিল কোনদিন। একটি দোলনা ছিল ছবিটাতে, বালিকার আকাশ ধরার
কি প্রগাঢ় তীব্রতা! ঝলমলে ফ্রকের হেম লিলুয়া বাতাসের সাথে পাল্লা
দিতে গিয়ে হু হু করে কাঁদল একদিন; আকাশ কেন কেবলি
দূরে সরে যায়? সমগ্র দীর্ঘ রাতশেষে সূর্য হিসেবে নিষ্করুণ গোলকধাঁধায়
ঘুরে বেড়ালাম। সরলতার অনুষ্ঠান নিমজ্জিত হয় শুধুই দীর্ঘশ্বাসে!
আমার নাম পরিধি হতে পারে এখন; হিমু নামক কেন্দ্রটিকে
ছোঁয়ার নেশায় আমি ক্রমাগত বৃত্তাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি । হিমু কে? তার পরিচয় কিভাবে দিতে হয় আমি বুঝতে পারিনি আজো । একটি মানুষের আকৃতি হয়ত, একটি পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী, ছেঁড়া স্যান্ডেল অথবা খালি পা, একটি সিংহহৃদয়- মানবীয় ভালবাসার যেখানে বড় অভাব, যা আছে তা শুধুই মহামানবীয়। একটি পরিপূর্ণের মাঝে ফাঁকা দৃষ্টি, একটি অন্ধকারের গান শুধু চারপাশে!
হায়! হিমুকে ছুঁতে পারিনি আমি , কিন্তু জানি
অহল্যার পাথুরে ঘুম ভেঙ্গেছে সেই গানে।
ফিনিক্স, বাজপাখি আমার - তোমার পালক দেখতে পাচ্ছি না;
নিশ্চয় কিছু আপ্তবাক্য হাতে নিয়ে, নিশ্চয় সপ্তসুরের মূর্ছনা শরীরে মেখে কোন এক জোছনারাতে আমি তোমার কাছে যাব! বাঁক এবং বলয়বিস্তৃত ময়ূরাক্ষী্র পরমজলে একটি সফল বৈঠাচালনা শেষ করে
আমার ঠোঁটের উপর তোমার রূপালী পালকের স্পর্শ চাই; ভিড় এবং দৃষ্টিকটু চলমান নৌকাসব উপেক্ষা করে অথৈ কালো জলে রূপালী রূপাকে ভাসিয়ে দিতে চাই।
মৃত্যু একটি ভয়ানক মিষ্টি নাম!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১