আধুনিক কালের ত্রিমাত্রিক গেমগুলো পরিবেশ(Environment), চরিত্র(Characters) এবং উপাদান(Elements) ইত্যাদি তৈরী করার জন্য আগেই তৈরী করা ডেভেলপমেন্ট টুল ব্যবহার করে থাকে। এই ডেভেলপমেন্ট টুল-ই গেম ইঞ্জিন। কালে কালে নতুন গ্রাফিক্স টেকনিক আবিস্কৃত হওয়ার জন্য এবং গেম ডেভেলপারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে বর্তমান গেম ইঞ্জিনগুলো, এবং তৈরী হচ্ছে নতুন ইঞ্জিন। এই পোস্টে প্রভাবশালী গেম ইঞ্জিনগুলো নিয়ে মোটামুটি আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে।
কিছু দরকারী কথাবার্তা:
গেম ইঞ্জিনগুলো আসলে গেম তৈরীর জন্য সফটওয়ার ফ্রেমওয়ার্কের কাজ করে। এর মানে হলো, গেম ইঞ্জিনগুলোও এক ধরনের সফটওয়ার যা বিভিন্ন ধরনের গেম বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের দরকারী মাল-মশলা এবং শিল-নোড়া সরবরাহ করে। মনে রাখতে হবে সব গেম ইঞ্জিন দিয়ে সব গেম ভালভাবে তৈরী করা যায় না। যেমন ফাস্টপারসন শুটার গেমের জন্য যে গেম ইঞ্জিন, তা দিয়ে রেসিং গেম বা থার্ড পারসন অ্যাকশান অ্যাডভেঞ্চার গেম বানানো গেলেও রিয়েল টাইম স্ট্রাটেজী গেমস বা মাল্টিপ্লেয়ার স্পোর্টস গেম বা ম্যাসিভলি মাল্টিপ্লয়ার রোল প্লেয়িং গেম(MMORPG) বানানোটা তেমন কাজের কাজ হবে না। তাছাড়া প্রত্যেক গেম ইঞ্জিন এক বা একাধিক নির্দিষ্ট গেম টাইপকে লক্ষ্য ধরে নিয়েই বানানো হয়। গেম ইঞ্জিনের আরেকটা দরকারী বৈশিষ্ট হলো এই প্লাটফরম থেকে গেম বানানো অনেক সহজ এবং সময় লাগে খুব কম। ধরা যাক কল অব ডিউটি গেম ইঞ্জিনের কথা, ইনফিনিটি ওয়ার্ডের কাছে একটা ভার্সান আছে এই গেম ইঞ্জিনের আর একটা আছে ট্রেয়ার্কের আওতায়- এই দুই ডেভেলপার টীম প্রত্যেকটা গেমের জন্য সময় পায় দুই বছরের মত, এরা মূলত যে কাজটা করে তা হলো, রেন্ডারিং সিস্টেম ব্যবহার করে নতুন কাহিনী অনুযায়ী কিছু নতুন কারেক্টার ডিজাইন করে, কিছু নতুন অস্ত্রশস্ত্র আর ম্যাপ বানিয়ে নেয়। তারপর চলে কাটসিন তৈরীর কাজ। গেম ইঞ্জিন তৈরী থাকায় দুই বছর ঘোরার আগেই তৈরী হয়ে যায় গেম, এর পর কিছু টেস্টিং এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে বাজারে ছেড়ে দেয় প্রডাক্ট। এভাবে বারবার ব্যবহৃত হয় একই গেম ইঞ্জিন। সংক্ষেপে ব্যাপারটা এ-ই। একারণেই গেম ইঞ্জিনকে অনেক সময় বলে 'মিডল ওয়ার'(Middle Ware)। অনেকগুলো স্বাধীন সিস্টেম বা সফটওয়ার আছে যেগুলো মোটামুটি সব গেম ইঞ্জিনের সাথেই ব্যবহার করা যায়। এগুলোকেও মিডল ওয়ারের তালিকা ভুক্ত করা হয়। যেমন বিংক ভিডিও। নামটা টেক হেডদের চেনা কথা। অন্য জনপ্রিয় নামগুলো হলো: হ্যাভক ফিসিক্স রেন্ডারিং ইঞ্জিন, মাইলস সাউন্ড সিস্টেম এবং রেন্ডারওয়ার। রেন্ডারওয়ার দিয়ে গেম ইঞ্জিন কাস্টমাইজ করা হয়।
ভার্চুয়ালি পুরো দুনিয়া তৈরী যেমন তেমন কথা না, পদার্থবিদ্যার সব(যতগুলো পারা যায় আর কী) নিয়ম মেনে সব উপাদান কাজ করবে, তাদের দেখতেও আবার ফটোরিয়েলিস্টিক হতে হবে। তাই অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক গেম ইঞ্জিনগুলোতে ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্সের উপর খুব জোর দেয়া হয়। তাই ঠিক অর্থ না করলেও আধুনিক গেম ইঞ্জিনগুলোকে অনেক সময় গ্রাফিক্স ইঞ্জিন বা গ্রাফিক্স রেন্ডারিং ইঞ্জিনও বলে। যদিও শুধু গ্রাফিক্স বা ভার্চুয়াল এনভায়রনমেন্টই একটা গেমের সব কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে বিভিন্ন গেম ইঞ্জিন কিভাবে একই হার্ডওয়ারে বিভিন্ন গ্রাফিক্স বা গেমপ্লে উপস্থাপন করে? এর উত্তর হলো বিভিন্ন ইঞ্জিন একই গ্রাফিক্স রেন্ডারার বা একই এপিআই(Application Programming Interface) ব্যবহার করলেও একই ভাবে ব্যবহার করে না। তার মানে গ্রাফিক্স রেন্ডারারের পুরো কার্যক্ষমতা সবাই একই ভাবে ব্যবহার করে না, অনেকে আবার পুরোটাই ব্যবহার করেনা (সবাই যদি পুরোটা ব্যবহার করতো তাহলে আমাদের অনেকের পিসিতেই ভালো ভালো অনেক গেমই একেবারেই চলতো না, তাছাড়া বর্তমানের এক্সবক্স ৩৬০ হলো আসলে ২০০৫ সালের হাইএন্ড পিসির সমান ক্ষমতার, সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে...)।
যথেষ্ট হয়েছে, এবার গল্পের ডালি:
আনরিয়েল ইঞ্জিন
একেবারে হালনাগাদ ভার্সান হলো আনরিয়েল ইঞ্জিন ৩; এপিক গেমসের বানানো এই গেম ইঞ্জিন একটি ফ্রি ওয়ার!! ডিরেক্ট এক্স ৯/১০/১১ সবই সাপোর্ট করে। যারা গেম খেলেন নিয়মিত তারা জীবনে একবার হলেও এই গেম ইঞ্জিনের একটা না একটা গেম খেলেছেনই। খুবই বহুল ব্যবহৃত এবং বিখ্যাত গেম ইঞ্জিন। প্রত্যেকটা পিক্সেল আলাদা আলাদা করে লাইটিং করতে পারে এটা ! ইলেক্ট্রনিক আর্টস, ইউবিসফ্ট, অ্যাক্টিভিশন, আটারি, কোনামি, ক্যাপকম, ডিজনী, মাইক্রোসফট সবাই কখনও না কখনও ব্যবহার করেছে এই গেম ইঞ্জিন তাদের গেম বানানোর জন্য।
এই গেম ইঞ্জিন দিয়ে বানানো বিখ্যাত গেম গুলো হচ্ছে: আনরিয়েল টুর্নামেন্ট সিরিজ, গিয়ারস অব ওয়ার, বুলেটস্টর্ম, মর্টাল কমব্যাট নাইন, ব্যাটম্যান আর্কহ্যাম অ্যাসাইলাম ইত্যাদি।
দুনিয়া ইঞ্জিন
ইঞ্জিনটা বানিয়েছেন কার্মান আবুবাকের()। ইনি ক্রাইটেকের কর্মকর্তা থাকাকালীন এই দুর্দান্ত ইঞ্জিন তৈরী করেন। এটা ক্রাই ইঞ্জিনের উপর তৈরী হলেও ইউবিসফট মন্ট্রিয়ল এটাকে ফর্দাফাই মডিফাই করে ব্যবহার করে তাদের ফারক্রাই ২ গেমে। যারা খেলেছেন তারা জানেন এ 'জিনিস' কী 'বস্তু'! পুরা ওপেন ওয়ার্ল্ড, টাইম কনজাম্পশান রিয়েলিস্টিক, তাই পথ হারাইলে খবর আছে দুনিয়া ইঞ্জিনের দুনিয়ায়। অবশ্য ফারক্রাই ২ তে বেশ ভাল একটা ম্যাপ ধরিয়ে দিয়েছিলো। যাহোক বর্তমানে এটি ইউবিসফটের করায়ত্ব। অ্যাভাটার গেম, অ্যাসাসিন'স ক্রিড ২ এবং ব্রাদারহুডে এর মডিফাই করা ভার্সনের ব্যবহার আছে।
আইডি টেক ৩
কেন এটার কথা বলছি? কারণ আছে! এটাই হলো সেই ইঞ্জিন যেটা থেকে কল অব ডিউটি ইঞ্জিনের উৎপত্তি। আইডি সফটওয়ারের বানানো এই ইঞ্জিন কোয়েক ৩ এরেনা তে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আইডব্লিউ ইঞ্জিন/কল অব ডিউটি ইঞ্জিন
১৯৯৯ সালে আইডি সফটওয়ার এর কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ইনফিনিটি ওয়ার্ড তৈরী করে এই ইঞ্জিন। প্রথম গেম ২০০৫ এর কল অব ডিউটি ২। এর মতো দারুন গেম ইঞ্জিন ফার্স্ট পার্সন শুটার দুনিয়ায় আর কোনওটাই নেই। না খেললে এর অনুভূতি বোঝানো সম্ভব না। তবে অন্যান্য গেম কোম্পানি এটার বিভিন্ন বৈশিষ্ট নকল করার চেষ্টা করেছে এবং করেই যাচ্ছে। এখনো ধারে কাছে কেউই নেই। এর দুইটা ধারা তৈরী হয়েছে এখন। একটাকে আই ডব্লিউ ইঞ্জিনই বলা হচ্ছে অন্যটার নাম দিয়েছে ওয়াল্ড এট ওয়ার ইঞ্জিন, ট্রেয়ার্ক যেটা নিয়ে কাজ করে আর কি। এটি রাড গেম টুল এবং বিংক ভিডিও ব্যবহার করে।
কল অব ডিউটি ছাড়াও কোয়ান্টাম অব সোলেস, এক্স ম্যান ওরিজিনস: উলভেরিন ইত্যাদি গেম তৈরি হয়েছে এই গেম ইঞ্জিনে।
অ্যানভিল ইঞ্জিন
২০০৭ সালে বানানো ইউবিসফটের নিজস্ব গেম ইঞ্জিন। ২০০৬ সালের আগে এর কোড নেম ছিল স্কিমিটার। এটি থার্ড পারসন অ্যাডভেঞ্চার গেমের জন্যে বানানো। প্রায় সব প্রিন্স অব পারসিয়া এবং সব অ্যাসাসিনস ক্রিড গেম এর উপর বানানো। তবে অ্যাসাসিনস ক্রিড (২০০৭) এবং প্রিন্স অব পারসিয়া(২০০৮) এর সময় এটার নাম স্কিমিটার ইঞ্জিনই ছিলো। অ্যানভিল নামে পপের ফরগটেন স্যান্ডস এবং এসি ২, ব্রাদারহুড এবং রেভেলেশান এর ইঞ্জিনের ভূমিকায় ছিল। এবং এসি ৩-এর টা কে বলা হবে অ্যানভিল নেক্সট।
রেজ ইঞ্জিন
নামটা হলো রকস্টার অ্যাডভান্সড গেম ইঞ্জিন()। রেজ টেকনোলজি গ্রুপ এর বানানো। গ্রুপটা আসলে রকস্টার গেমসের বিভিন্ন স্টুডিও এর সমন্বয়ে বানানো। এটিতে ইউফোরিয়া কারেক্টার এনিমেশান ইঞ্জিন এবং বুলেট ফিজিক্স ইঞ্জিন মিডলওয়ার হিসেবে আছে। আইজিএন এর একটা আর্টিকেলে ক্রিস স্টীড লিখেছেন- "RAGE's strengths are many. Its ability to handle large streaming worlds, complex A.I. arrangements, weather effects, fast network code and a multitude of gameplay styles will be obvious to anyone who has played GTA IV."
এটা দিয়ে ডেভেলপ করা বিখ্যাত গেম হলো জিটিএ ফোর, মিডনাইট ক্লাব: লস অ্যাঞ্জেলস, রেড ডেড রিডেম্পশান ইত্যাদি।
ম্যাক্স পেইন ৩ ও করা হচ্ছে এটা দিয়েই।
ক্রাই ইঞ্জিন
একটা সময় ছিলো যখন পিসির পারফর্মেন্স বিচার করা হতো সেটাতে কত ফ্রেম রেটে ফার ক্রাই চলে তা দিয়ে। আর ঐ গেমের ইঞ্জিনটা ছিলো বিখ্যাত ক্রাই ইঞ্জিন। বর্তমান ক্রাই ইঞ্জিন ৩ কে বলা হয় সবচেয়ে ফটোরিয়েলিস্টিক ইঞ্জিন। লাইটিং, এনিমেশান, এ আই, রেগডল, এন্টি এলিয়াসিং সব দিকেই অন্য ইঞ্জিনগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে এই জার্মান ইঞ্জিনটি। এটির একটা ভার্সান আবার সবার জন্য উন্মুক্তও করে দেয়া আছে। সেটিকে নিয়ে আমেরিকান সেনাবাহিনী এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিমুলেশান বানাচ্ছে। তৈরী হচ্ছে ফ্রিটুপ্লে শুটার ওয়ারফেস। এক কথায় অতুলনীয় এই ইঞ্জিনটা।
ডেভেলপার ক্রাইটেক। বিখ্যাত গেম ক্রাইসিস সিরিজ, এনট্রোপিয়া ইউনিভার্স ইত্যাদি। হোমফ্রন্ট ২ তৈরী হচ্ছে ক্রাই ইঞ্জিন ৩ দিয়ে।
ইগো ইঞ্জিন
ইগো গেম টেকনোলজি ইঞ্জিন সংক্ষেপে ইগো ইঞ্জিনের ডেভেলপার হলো প্রজেক্ট আইজিআই খ্যাত কোডমাস্টারস্। এই গেম ইঞ্জিন মূলত: রেসিং গেম এবং ফার্স্টপার্সন শুটারের জন্যেই ব্যবহৃত হয়। দুর্দান্ত ফিজিক্স এবং রেসিং সিমুলেশানে অতুলনীয় এই ইঞ্জিন। ব্যবহৃত হয়েছে ডার্ট সিরিজে, রেস ড্রাইভার গ্রিডে, এফ ওয়ান সিরিজে এবং অপারেশান ফ্লাশপয়েন্ট: রেড রিভার গেমে।
ফ্রস্টবাইট
এটি তিন নাম্বার ভার্সনে(১.০, ১.৫, ২.০) আসার আগে এত নাম করা ছিলো না। তবে যেন সময়ের সাথে সাথে এমন একটা ইঞ্জিন হয়েছে এটা যে একে নিয়ে একটু রয়ে কথা না বললেই নয়। এই ইঞ্জিনের প্রথম গেম ব্যাটলফিল্ড ৩ বেরোনোর কয়েকদিন পরে একটা কথা পড়েছিলাম কোথায় যেন, যে আপনি যদি কোনও একটা মাল্টিপ্লেয়ার কনকোয়েস্ট ম্যাচে নামেন তাহলে প্রথম দুই তিন ম্যাচে আপনি ম্যাপের অর্ধেক জায়গাও ঘুরে দেখে উঠতে পারবেন না। অর্থাৎ এত বড় ম্যাপ তার ভিতর বিল্ডিং এবং অন্য স্ট্রাকচার, ইনডোর, বনজঙ্গল, সমুদ্র, নদী, পাহাড়, মাঠ সব মিলিয়ে ৬৪ জন প্লেয়ারের উপযোগী করে বানানো। তার সাথে আছে শখানেকের বেশি অস্ত্র, প্রায় সমান সংখ্যক ইকুইপমেন্ট এবং ট্যাংক, এপিসি, হেলি, ফাইটারজেট, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ইত্যাদি। সব থরোলি কাস্টমাইজেবল। যুদ্ধ এবং ফ্রস্টবাইট ২। এসব কিছু বললেও কমই বলা হয়।
ফিফার(ফিউশন ফাইভ না, ফুটবল গেম) ডেভেলপারদের কাছ থেকে অ্যান্ট অ্যানিমেশান সিস্টেম মিডলওয়ার হিসেবে নিয়ে প্লেয়ার মুভমেন্ট অ্যানিমেট করা হয়েছে। সাউন্ড জুড়ে দেয়া হয়েছে ক্যামেরার সাথে ফলে পিকচার মৃদু কাপলেও যদি শব্দ হওয়ার থাকে তাহলে হবেই। আর ডেসট্রাকশন ২.০ নামের সিস্টেম করে কী, মোটামুটি দুনিয়ায় (গেমের ভিতর) যা কিছু দেখা যায় তার সব কিছুই ভেঙে ফেলা যাবে। হয়তো এ এন ৯৪ এর ৭.৬২ মিমি রাউন্ড দিয়ে হবেনা। কিন্তু আব্রামস এম১ এর ১২০ মিমি স্মুথবোর ক্যানন এর এক রাউন্ডেই কাজ হয়ে যাবে। এসবই সম্ভব ডিজিটাল ইলুশনস কম্পিউটার এন্টারটেইনমেন্ট বা ডাইসের ফ্রস্টবাইট ২ ইঞ্জিন দিয়ে।
বিখ্যাত গেমের মধ্যে আছে দি রান, ব্যাটলফিল্ড ৩-র নাম আগেই করা হয়েছে। সামনের অক্টোবরে মেডাল অব অনার ওয়ারফাইটারও আসবে এটাতেই তৈরী হয়ে।
আসা করছি সবাইকে কিছুটা আনন্দ দেয়ার সাথে সাথে জানার মতো তথ্যও পরিবেশন করতে পেরেছি।