প্রথম বারো
13. ভালো সিগন্যাল পেতে বাড়ির ছাদে ছাদে লাগানো হতো টিভি এন্টেনা। ভারতীয় দূরদর্শণের দেখা পেতে সিলভারের ঢাকনিও ঝুলানো হতো। সেগুলোর বাহারী নাম ছিল- বুস্টার
14. শাহবাগ নামে হোটেলের নামেই মোড়ের নাম শাহবাগ। চৌমাথার গোলচত্বরে মনোরম ফোয়ারা ছিল, মৎস্য ভবন মোড়, গুলশান ১, গুলশান ২, মিরপুর ১০, মগবাজার মোড়ে গোল চত্বর ছিল।
15. ১৯৯২-১৯৯৩ সালেও বাস কন্ডাক্টরের মুখে খুব শোনা যেতো ‘সোজা মিরপুর’। কারণ আগে মিরপুর যাওয়ার পথই ছিল টেকনিক্যাল ঘুরে ১ নম্বর হয়ে ১২ নম্বর যাওয়া। রোকেয়া সরণি, পান্থপথ ও বিজয় সরণি তৈরি হয় এরশাদের সময়ে। মিরপুরবাসী শহরের দিকে আসাকে বলতো, ঢাকায় যাচ্ছি।
16. টাংস্টেন ফিলামেন্ট বিজলি বাতিতেই শৈশব কেটেছে, আর সেই বাতির রাজা ছিল ফিলিপস; খুব কম বাসাতেই ছিল টিউবলাইট। টিউবলাইট লাগাতে খরচ পড়তো বেশি।
17. ১৯৯৬-৯৭ সালে এখন যেখানে পুলিশ স্টাফ কলেজ ও পুলিশ কনভেনশন সেন্টার সেখানে বিশাল জলাধার ছিল; নৌকা চলতো।
18. নিউ এলিফ্যান্ট রোডে এখন যেখানে সুবাস্তু আর্কেড সেখানে ছিল ‘নীলপদ্ম’ কনফেকশনারি যেখানে দেড় টাকায় পেতাম নারকেল বান। আর এখনকার রিনা নামের শোরুমটি ছিল আমার প্রিয় বেকারি। এর বাদাম-বিস্কিট অত্যন্ত উন্নতমানের ছিল। রিনার পূর্বের নাম ছিল রুমা। এখানে এক বাক-প্রতিবন্ধী সেলসম্যান আমাকে খুব আদর করতো।
19. বাংলাদেশের প্রথম হালাল(!) সাবান বানায় এরোমেটিক আর পঁচা সাবান তৈরি করে আলম সোপ ফ্যাক্টরী।
20. রমজান মাসে বাজার সয়লাব থাকতো ইরাকী জমাটবাঁধা খেঁজুরে।
21. ১৯৮৪-৮৫ সালে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল থেকে জগন্নাথ হলের কাছে স্কুল পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ছিল ৫ টাকা; ’৮৮-৮৯তে ঢাকা কলেজ থেকে বিজয় সরণী চন্দ্রিমা উদ্য্যান প্রান্তের রিকশা ভাড়া ছিল ১০টাকা। ’৯৩ সালে মিরপুর থেকে ফার্মগেটের ডাইরেক্ট বাস ভাড়া ছিল ২টাকা, লোকাল দেড় টাকা।
22. ’৭৫ এর পরে বাংলাদেশ বেতার এর নাম ছিল রেডিও পাকিস্থানের নামের সাথে মিলিয়ে রেডিও বাংলাদেশ।
23. এসএম হল আর বুয়েটের মাঝের রোডে রেইনট্রিগুলোর বিশাল ছায়া ছেলেবেলায় আমাকে অবাক করেছিল।
24. ঢাকা শহরের প্রতি বাড়িতে কিছু না কিছু গাছ ছিল; আজ তো কেউ একবিন্দু জায়গা ছাড়ে না। এখন পারলে সীমানা প্রাচীর থেকেই দালান তোলে মানুষ।রাস্তায়ও ছিল অনেক গাছ; রাস্তা চওড়া করতে যা আর দাঁড়িয়ে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪