২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ কোটি লোক মারা যাবার কথা বিভিন্ন গন মাধ্যম প্রচার করছে যার ৭০ শতাংম বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসের আশঙ্কা রয়েছে।
ধূমপানের কারনে বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন । পক্ষান্তরে অধূমপায়ীরা ধূমপায়ীদের চেয়ে বেশী দিন বেচে থাকার কারনে তাদের স্বাস্থ্যসেবায় কম অর্থ ব্যয় হয়।
ধূমপানের কারনে অসুস্বতার ফলে কর্মে অনুপস্থিত এবং রোগে কর্মীদের মৃত্যর ফেল সাির্বক উৎপাদন হ্রাস পায়। এেক সমােজর সার্বিক ক্ষতি অথবা ধূমপায়ী পরিবারের ব্যক্তিগত ক্ষতি যে কোন ভাবেই অভিহিত করা যেতে পারে। অন্যদিকে ধূমপানের জন্য যে সময় দিতে হয় তা উৎপাদনে ব্যাগাত ঘটায়,যা অতি সহজে এড়ানো সম্ভব।
তামাকব্যবহারকারীরা তাদের মাসিক গৃহস্থালি খরচের বড় একটা অংশ তামাকের পেছনে ব্যয় করে।
প্রতি বছর তামাক ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশের ১২০০০০০ মানুষ ৮ টি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীদের ২৫% মাত্র হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ধরে নিয় হিস্ব করলে দেখা যায় এর ফলে বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫০০০ কোটি টাকার ক্ষতিহয়। অপরপক্ষে তামাকখাতে ার্থনীতি বছরে ২৪০০ কোটি টাকা আয় করে। তামাক ব্যবহারের ফলে বাংলদেশের অর্থনীতিতে বছরে নীট ক্ষতির পরিমান ২৬০০ কোটি টাকা।
তামাক ব্যবহারেন পত্যক্ষ ফল হিসেবে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫৭০০০ ব্যক্তি মৃতু্যবরন করেন এবং ৩৮২০০০ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় দেখা যায় আমাদের দেশে তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করা গেলে প্রায় ১৮.৭% কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তামাক নিয়ন্ত্রনের ফলে অনেক লোক চাকুরি হারাবে তামাক কোম্পানীগুলোর এ ধরনের বক্তব্য সঠিক নয়। যদি কোন ব্যক্তি তামাক ব্যবহার বন্দ্ধ করে, অবশ্যই সে ঐ টাকা দিয়ে অন্য কোন পন্য ক্রয় করবে যার ফলে ঐ পন্যের চাহিদা এবং বাজার বৃদ্ধি পাবে।
পৃথিবীর অনেক দেশে তামাক রপ্তানী অপেক্ষা আমদানীতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। আমদানী ও রপ্তানীজনিত ঘাটতির কারনে একটি দেশে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৯৭-৯৮ সালে বাংলাদেশের ২৭ কোটি টাকার তামাকজাত দ্রব্য রপ্তানী করে এবং ৯৯ কোটি টাকার পন্য আয় করে । আমদানী ও রপ্তানীজনিত ঘাটতির কারনে বাংলাদেশে ৭২.৬ কোটি টাকার ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়।
স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত সিগারেটের একটি বড়অংশ বহুজাতিক তামাক কোম্পানীগুলো তৈরি করে থাকে। কাজেই তামাক ব্যবসা থেতে প্রধান সুবিধাভোগী উন্নয়নশীল দেশের তামাক চাষী বা কারখানার শ্রমিক নয়, বরং লাভবান হয় ধনী দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী।
বহুজাতীক তামাক কোম্পনীগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর সিগারেট উৎপাদনের মেশিনারী এবং অনুষাঙ্গিক জিনিস যেমন সিগারেট মোড়ানো কাগজ অামদানী করে থাকে। ফলে দেশের বিরাট অর্থ বাইরে পরিমান চলে যায়। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি পড়ে। এভাবে বহুজাতিক তামাক কোম্পানীগুলো উন্নয়নশীল দেশ থেকে লভ্যাংশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছে।