১.সংখ্যা নির্বাচন বা উৎস :
সংখ্যা নির্বাচন বা নির্বাচিত সংখ্যার উৎস কোন সংখ্যাতাত্ত্বিক মিল সন্ধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোন একটা সংখ্যাকে আমরা প্রধান সংখ্যা হিসেবে কেন নিলাম তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বা উৎস থাকতে হবে।
যাচাই করে দেখতে হবে এ সংখ্যাতাত্ত্বিক সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা কিনা।
২. সংখ্যার বড়ত্ব ও গাণিতিক ধর্ম
যে সংখ্যা আমরা নিলাম তা যদি ছোট কোন সংখ্যা হয় তা হলে মিল পাওয়া সহজ হয়,যেমন ২ ,৩,৫ ইত্যাদি।
আবার কোন সংখ্যা যদি বড় হয় কিন্তু এমন গাণিতিক ধর্ম থাকে যে অনেক মিল বের করা সম্ভব সেটাও দুর্বল মিল
যেমন ৪০,৫০,৩০০ এরকম সংখ্যা আসলে বড় হলেও ১০ এর গুনিতক হিসেবে থাকায় ৪,৫ বা ৩ এর মত মিল বের করা যায় । আবার ৯ এর গাণিতিক ধর্ম এমন যে এর গুণিতক যেকোন সংখ্যা থেকে আবার ৯ পাওয়া যায়। (বিস্তারিত )
এ ধরনের গাণিতিক ধর্ম থাকলে স্বভাবতই মিলগুলোকে দুর্বল বলা যায়।
৩.মিলের সঠিকত্ব
প্রথমত যেকোন মিল আসলে সঠিক কিনা তা আমাদের যাচাই করে দেখা উচিত।
যেমন কিছু মিল আছে যা দেখলে মনে হয় মিলছে আসলে কোন শর্তে মেলে না, শুধু দৃশ্যত মেলে,যেমন ১১ ও ৬৬৬। এর অন্তর্ভুক্ত:
-হিসাবের ধ্রবতা, অর্থাৎ এ হিসাব পরবর্তীতে পাল্টে যাবে নাতো তা যাচাই
-হিসাবের ভুল
৪. তথ্যের সম্পূর্ণতা
যেকোন সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে যে তথ্য নেয়া হয় তার সম্পূর্ণতা থাকাটা আবশ্যকীয়। কোন কিছু যোগ করে বা বাদ দিয়ে বা এডিট করে তথ্য হাজির করলে সে হিসাব অগ্রহণযোগ্য।
৫. একই সংখ্যায় শর্তের সংখ্যা
একই সংখ্যায় একাধিক শর্তের মাধ্যমে মিলানো হলে তা দুর্বল মিল। আর যদি কোন সংখ্যায় মিল একাধিক প্রকরণে মিলে তবে তা শক্তিশালী ।
ধরুন একটা সংখ্যা ৩২১, এর সাথে ৫ এর সম্পর্ক বের করতে চান। তাহলে হয়তো এভাবে করা যেতে পারে ৩২১=৩*২-১=৬-১=৫ ( প্রথম দুই সংখ্যা গুন পরে গুনফল-শেষ সংখ্যা)
কিন্তু একই সংখ্যায় এইভাবে একের অধিক শর্ত দিয়ে মিলানোটা খুবই দুর্বল প্রকৃতির মিল।
কিন্তু দেখুন ৫ এর সাথে ৪১০ সংখ্যার মিল প্রথমত এর উৎপাদক ৫ ,দ্বিতীয়ত নিইমেরোলজিকাললি ৪১০ হতে পাই ৪১০=৪+১+০=৫
সুতারাং ৫ এর সাথে ৪১০এর মিল মোটামুটি সবল বলা চলে।
৬. মিলের সামগ্রিকতা এবং বিষয়নির্দিষ্টতা
মিল সামগ্রিক হওয়া প্রয়োজন, ধরুর কোন বিল্ডিংয়ে ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যদি কোন অ্যাপার্টমেন্ট নম্বরের সাথে বসবাসকারীদের সংখ্যার সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে কেউ পায় ৪ নং অ্যাপার্টমেন্টে থাকে ১২ জন (৪*৩), ৫ নং এ থাকে ১০ জন (১০*২), তেমনি ৬ নং এ থাকে ১২ জন (৬*২), এখন এ মিল তখনই সবল বলা যাবে যখন প্রত্যেক অ্যাপার্টমেন্ট নম্বরের সাথে বসবাসকারীদের সংখ্যার এ ধরনের মিল থাকবে। ৭ নংয়ে ১০ জন যদি থাকে তাহলে এই মিলের আর কোন মূল্য নেই।
সামগ্রিকতার পাশাপাশি বিষয়নির্দিষ্টতাও থাকাটা জরুরী।
৭. স্থুল মিল
কিছু মিল আছে যা খুবই স্থুল,যেমন ধরুন অক্ষরের মিল, ৫ অক্ষরের কোন শব্দের সাথে ৫ অক্ষরের অন্য কোন শব্দ মিলানোটা এ ধরনের হাস্যকর মিল।
তারপর ধরুন দেখতে মিল হওয়া, কোন বস্তু দেখতে ৩ এর মত বাকানো,তার সাথে যদি ৩ সংখ্যার মিল খোঁজা হয়।
৮. বিচ্ছিন্ন মিল ও আন্তসম্পর্কযুক্ত মিল
যদি সংখ্যার মিল গুলো প্রত্যেকটি বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে সেগুলো ততটা সবল মিল হয় না যতটা না হয় আন্তসম্পর্কযুক্ত মিল হলে। আন্তসম্পর্কযুক্ত মানে অনেকগুলো মিলের প্রত্যেকটার সাথে প্রত্যেকটার মিল থাকা বা সবগুলো ডাটার যদি সমন্বয় থাকে।
৯. মিলের আধিক্য বা স্বল্পতা
সর্বোপরি উপরের সব শর্তে সবল মিল প্রমাণিত হওয়ার পরও যদি মিলের সংখ্যা নেহাত কম হয় তাহলে সেটাকে কাকতালীয় বলাটাই সমীচিন হবে, কারন কাকতাল শব্দের তো একটা সার্থকতা নিশ্চয়ই আছে।
তবে হ্যাঁ, যদি সব দিক দিয়ে কোন সংখ্যাকেন্দ্রিক পারফেক্ট মিল প্রচুর পাওয়া যায়? সেক্ষেত্রে বিষয়টা নিয়ে আমরা আবার ভাবতে বসলে দোষের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।
মূল পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮