somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু নরপশুর উল্লাস আর আমার কিছু কথা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রতি পাওয়া খবরে জানতে পারলাম চিটাগাং ভার্সিটিতে চাত্রলিগ-শিবির সংঘর্ষে ২ জন শিবির কর্মী খুন হয়েছেন। সংবাদ টা দেখার অল্প সময়ের মদ্ধেই ব্লগে কিছু ব্লগার রুপী ছাত্রলীগের দালাল নরপশুদের উল্লাশ দেখতে পেলাম। এসব দেখে আলেকজান্ডার এর মত বলতে ইচ্ছা করছে "সত্যি সেলুকাস, বড় বিচিত্র এই দেশ।" শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংশার কারনে ২ টি তরতাজা প্রান ঝরে যাওয়া তে এইসব নরপশুরা এত আনন্দ কিভাবে পায় ভেবে পাই না। এই নরপশুদের কয়েকজন হল- রাজিউর, তীর্থযাত্রী, বল্লাগোষ্ঠী এবং আর কিছু। একটা কুকুর লিখেছে " একটা দুইটা শিবির ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর" এইসব কুকুরেরা নাকি আবার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। শিবির, জামাতের সহযোগী সংগঠন এই কি তাদের অপরাধ? শিবিরে নিশ্চয় কারো বয়স ৫০ বা ৬০ নয়। তারা নিশ্চয় ৭১ সালে রাজাকার, আল-বদর কিংবা পিস কমিটির মেম্বার ছিলনা। তারা নিশ্চয় সে সময় মানুষ খুন, ধর্ষণ এসব করেনি। তাহলে তাদের কে স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি বলে এই প্রোপাগান্ডা
কেন? কেন শিবির কর্মী লিগের হাতে খুন হলে কিছু মানুষরূপী পশুর উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়? গত ১০/১৫ বছরে শিবিরের হাতে কতজন মারা গেছে, আর ছাত্রালিগের হাতে কতজন? অতিত না হয় বাদই দিলাম, গত তিন বছরে এই ছাত্রালিগ নামক কুকুরের খামারের কারনে কত রক্ত ঝরেছে, কত ক্যাম্পাস বন্ধ হয়েছে, কত মায়ের বুক খালি হয়েছে তা নিশ্চয় পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে হবে না। এরাই তো তারা, যারা নিজেদের দলের বিরোধী গ্রুপ এর কর্মীদের হলের ছাদ থেকে ফেলে দেয়,


এরাই তো দিনে দুপুরে প্রতিপক্ষের কর্মীদের কাম্পাসে গরুর মত কোপায়। এরাই তো তারা যারা ধর্ষণে সেঞ্চুরি পালন করে। টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজি, হল দখল, খুন, ধর্ষণ যাদের নিত্তদিনের সঙ্গী তাদের পক্ষে কারা কথা বলে? নিশ্চয়ই ওদের মতই কিছু জানোয়ার।

খুনের পর যারা ব্লগে উল্লাস করে তারা কি একবার ভেবে দেখেনা সেই মায়ের কথা যার বুক খালি হয়ে গেল, সেই বোনের কথা যে তার আদরের ভাইকে হারাল? ৭১ সালে পাকিস্তানি আর ওদের এদেশীয় দোসররা যা করেছিল এখন ছাত্রলীগ তার
চেয়ে কি কম কিছু করছে? এরা যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয় তাহলে স্বাধীনতা বলে কোন শব্দই নেই, থাকা উচিত না। স্বাধীনতার রুপকার বঙ্গবন্ধু কে স্বাধীনতার পরে তার চারদিকে থাকা কিছু কুলাঙ্গার বিপথগামী করেছিল। যে মানুষটি স্বাধীনতার ডাক দিলেন তাকে স্বৈরাচারীতে পরিনত করেছিল। তার পরিনতি কারো জন্নেই সুখের হয় নি। সেই চক্রান্তকারীরা এখন ভর করেছে হাসিনার কাধে। আর তাদের কিছু পোষা হিংস্র কুকুর হল আজকের ছাত্রলীগ। কিন্তু ইতিহাস তো এদের পক্ষে নয়। খুন করে কেউ কোনদিন টিকে থাকতে পারেনি, পারবেওনা। অবশ্য এত আদর্শের

কথা বলে লাভ কি? ওরা যদি টেন্ডার ভাগ নিয়ে নিজেরা নিজেদের রক্ত ঝরাতে পারে, তাহলে বিরোধীদের খুন করতে সমস্যা কোথাই?

ওরা রক্ত ঝরিয়েই যাবে আর আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? এ দেশের একজন বিখ্যাত বাউলের একটি গান ছোটবেলাই শুনেছি। গানটির প্রথম লাইন ছিল
"এই দিন দিন নয় আরও দিন আছে"। ছাত্রলিগের সোনার ছেলেদের গানটি আবার শোনা উচিত, তাও যদি সাবধান হয়। যদি না হয়- ইতিহাস কাওকে কোনদিন ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। প্রথমেই যে কয়টি ব্লগার নামক পশুর নাম দিয়েছিলাম এরকম আরও অনেক পশুই এখন ব্লগে আছে। যারা কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানির লাশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করে, দেশের সারথে কিছু লিখলেই "ছাগু" নাম দিয়ে অশ্লীল কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেয়, আর ভারত কিংবা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে ধুতি খুলে ঝাপিয়ে পরে। এরা আর কিছু পারুক না পারুক এদের একটি বড় যোগ্যতা হল দেদারছে মিথ্যাচার করা আর লেখার অযোগ্য শব্দ ব্যবহার করা।

ব্লগার ভাইয়েরা আমার এই পোস্টের জন্য হইত আমি জেনারেল হয়ে যাব But one thing for sure, I don't care what will happen for fighting evil, really i don't care. প্রতিবাদ অনেক করা হয়েছে ভবিষ্যতে হবে, কিন্তু যখন প্রতিবাদে আর কোন কাজ হয়নাতখন প্রতিরধের রাস্তা খুলে যায়। জাগ বাঙ্গালী জাগ, ওদের দেখিয়ে দাও আমরা মরে যাইনি, ঘুমিয়ে যাইনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
২৭টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিমকে বিভিন্ন নিয়মে ইবাদত করতে কে বলেছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৭



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ার রক্তচোখ: ক্রোধের নগর

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫২


ষড়ঋপু সিরিজের দ্বিতীয় কাহিনী ”ক্রোধ”

রাত্রি নেমেছে শহরের উপর, কিন্তু তিমির কেবল আকাশে নয়—সে বসেছে মানুষের শিরায়, দৃষ্টিতে, শ্বাসে। পুরনো শহরের এক প্রান্তে, যেখানে ইট ভেঙে পড়ে আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রিয় কন্যা আমার- ৭৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২



প্রিয় কন্যা আমার-
ফারাজা, তুমি কি শুরু করেছো- আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! রাতে তুমি ঘুমানোর আগে ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতে যাও। প্রতিদিন তোমার মুখে ঘুমের দোয়া শুনতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নববর্ষের শোভাযাত্রা নাম বদল করছি না, পুরোনো নাম–ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি: ঢাবি উপাচার্য

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪



পয়লা বৈশাখে ফি বছর চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×