বাংলাদেশের খেলোয়ারেরা যে কতটা স্টুপিড, তা মাঝে মাঝে প্রকাশ পায় তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা আর আচার আচরণে। বাংলাদেশে একমাত্র সফল বোর্ড বলে ক্রিকেট বোর্ড, মাঝে মাঝে এই বোর্ডের কর্তারাও তাদের কাজে আচরণে বেশ হাস্যরসের যোগান দেয়। আর ক্রিকেট তারকারা হল আরেক জগতের প্রাণী - যারা দুই একটা চার ছক্কা মারতে পারলেও মুই কি হনুরে ভাব নিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু ফুটবল প্লেয়াররা তাদের কাজে কর্মে এতদূর আসতে পারেনি, যদিও আশির দশকে আমাদের ফুটবল টীম বিশ্বে বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছিল। এখন তারা তাই উদ্ভট কথাবার্তার মাধ্যমে গণমাধ্যমে মাঝে মধ্যে উঁকি দিতে চায়।
বাহরাইনে এ এফ সি অনুর্ধ-২০ যুবা চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইয়ে কাতারের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। একটু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হওয়ায় দলকে সাহস যোগাতে টিম ম্যানেজার বিজন বড়ুয়া বলে পদ্মা সেতু বানাতে পারলে কাতারকে হারাতে পারব না কেন! কিসের সাথে কিসের তুলনা? পদ্মা সেতু বানিয়ে এরা কি এমন হয়ে গেছে? অর্থায়নের উৎস থাকলে বাংলাদেশের সক্ষমতা আছে এরকম দশটা সেতু বানানোর। বরং বিশ বছর আগের জিনিস বিশ বছর পরে বানানো বাংলাদেশের অকর্মণ্যতার নজীর হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। অর্থায়নের ব্যবস্থা হয়েছে তাই সেতু বানানো গেছে। এই অর্থ দিয়ে কি কাতারকে পরাজিত করা যাবে?
আমি মনে করি, বাংলাদেশের ফুটবল দল কাতারের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছে এরকম স্টুপিড মার্কা লোক টিমের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে বলে। সেদিক থেকে আমি ফুল ক্রেডিট দেব নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী ছোটনকে। হই ইজ এ গ্রেট ম্যান। যেখানে যা দরকার তা দিয়েই দলকে মোটিভেট করতে পারে। এই লোককে একবার জাতীয় দলের দায়িত্ব দিয়ে দেখা যেতে পারে।
পরিশেষে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলকে শুভ কামনা জানাই। আমার ছোট বোন ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলত। এই মেয়েগুলোকে দেখলে আমার মনে পড়ে ফ্রক পড়ে পায়ে বল নিয়ে উড়ে বেড়ানো সেই দুরন্ত বালিকার কথা। পড়াশুনার চাপে মেয়েটা ক্লাস ফাইভ থেকে খেলাধুলা ছেড়ে দিল। আমেরিকায় যাবার আগে তাকে আমি হাতে বানিয়ে একটি বল দিয়েছিলাম। গতবছর সে একটা ছবি পোস্ট করেছে - আমার দুই ভাগ্নে সেই বল দিয়ে খেলছে। এতদিনেও বলটি একটুও মলিন হয়নি।
১. ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪১ ১