মানুষ একা বাস করতে পারে না; এজন্য তার সঙ্গী হয় প্রয়োজন। সেই সঙ্গীরা সামান্য ভুল বুঝাবুঝি কারনে কখনো সৃষ্টি হয় গ্রুপিং। সেই থেকেই বিভ্রান্তিগত তথ্য ঝগড়াফসাদ। ভয়ংকর অাকার ধারন করলে কখনো খুনখারাপিও হয়। মূল কথায় অাসি।
ছাত্রজীবন কারনে অকারনে প্রেম বা রাজনৈতিক জনিত তুচ্ছজ্ঞান বন্ধু-বান্ধবীরদের গ্রুপিং সৃষ্টি।
ব্যাপারটি অামার কাছে ভাললাগতো না, সমর্থনও করতাম না, তাই উভয় গ্রুপের কারো কারও পছন্দতত্ত্ব প্রশ্নাতীত।
রাজনৈতিক জীবনে নোংরা পলিটিক্স গ্রুপিংটা সবচেয়ে বেশী ভুগিয়েছে। দলে তখন এক-দুটা নয়, অাটটি গ্রুপ। নিজের দলের প্রতিদ্বন্দ্বী নিজে। নিজের শত্রু নিজে। একগ্রুপ খুন করছের অন্যগ্রুপ কে! কে অাপন কে শত্রু!,এরই মাঝে অারেকটা খুন! পারিবারিক চাপ, গ্রুপিং টার্গেট,টিকতে হলে গ্রুপিং করতে হবে এটাই নোংরা পলিটিক্সের মূলনীতি। অামার দ্বারা গ্রুপিং অসম্ভব,, বুঝে গেলাম মাষ্টারের ছেলের জন্য পলিটিক্স নয়।
স্টামপিং হয়ে নিজে অাউট হয়ে মাঠ ত্যাগ।
বেকার জীবনের গ্রুপিং সৃষ্টি হয় মাম্মি-ডেডী অার বাবা-মায়ের সন্তানের মধ্যে। অামি বাবা মায়ের সন্তান।
অফিস পলিটিক্স বাংলাদেশের অধিকাংশ অফিসেই অফিস পলিটিক্স হয়। ভিন্ন গ্রুপ তৈরি হয়ে নানান রকমের নোংরা পলিটিক্স হতে থাকে অফিসের ভেতরেই। অামার অফিসও এর ব্যতিক্রম নয়। একবার দলাদলির শিকার হলে সেখান থেকে নিজেকে বের করে আনাটা বেশ কঠিন।
লেখক /ব্লগারদের গ্রুপিং প্রায় প্রতিটি জেলাতেই লেখকদের মধ্যে গ্রুপিং, একে অপরের নিন্দা লেগেই আছে। এসব কারণে বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীলতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নৈতিকতা ও প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া রক্ষনশীল প্রগতিশীল সাহিত্যে রাজনৈতিক কারনে গ্রুপিং অসাভাবিক নয়। মজার বিষয় হলো এবাবের বই মেলা থেকে লক্ষ্য করি, ব্লগারের মাঝেও চারটি গ্রুপ তাসলিমা নাসরিন কেন্দ্রিক /জাফর ইকবাল কেন্দ্রিক / গণজাগরণ মঞ্চ ও অার একদল অাছে উভয় কেন্দ্রিক।
শেষকথা হলো একটি সুন্দর সভ্যসমাজ গঠনে যেমন বন্ধুদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়োজন, তেমনি সে সভ্যসমাজ অাদর্শ একটি দেশগঠনেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবন্ধের প্রয়োজন। অার সেই জাতীকে পরিচালনায় প্রয়োজন শিক্ষার। সেই শিক্ষার বেকসিন দিবে সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বরা । সুতরাং গ্রুপিং করে নিজে বড় হওয়ার চেয়ে গ্রুপিংহীন ঐক্যবদ্ধে জাতিকে এগিয়ে নেয়াই শ্রেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫