এসেছিলে চিহ্ণ রেখে যেতে
কর্মময়, সত্য, সুন্দর, স্মরনীয় বরণীয়
সেবায়, প্রেমে, সৃষ্টিতে মহত্তম উপমায়
দেখোতো আয়নায় চেয়ে- যাপিত জীবন!
ভুবন চুরাশির কষ্ট ক্লেশ
যাতনা, নিত্যতা সয়ে সয়ে
কত ভাগ্যে পেয়েছ এ জীবন;
অথচ কি নির্বোধ অহংকারে
জ্ঞান, ধর্মকে দলে যাও ভোগের মোহাবিষ্টতায়
খাঁদের কিনারায় অন্ধের এগিয়ে যাবার দৃঢ়পণ।
ক্যানভাসে কিছুই ফেলনা নয়
রংহীনতা্ও রং ফুটিয়ে তোলারই অংশ
তাই নির্লিপ্ত আনুগত্যে নিরবেই পথচলা
অনুভবে দূরদৃষ্টির দৃষ্টিকোণ!
স্থিরতার গতি অনুভুত হলে
প্যারালাল অসীম গতি স্থিরতায়
পলকে দেখে নাও নিজেকে সময়ের আয়নায়;
তোমর বিশ্বাস, তোমার কর্ম
তোমার অর্জন তোমার ত্যাগ
ব্যাক্তিক, পারিবারিক, সামষ্টিক সামাজিকতায়-
পঞ্চভুতে পঞ্চইন্দ্রিয় মিশে যাবার আগেই
দৃষ্টি স্থির, হস্ত-পদ অচল, অনুভব, চেতনা
বিবশ হবার আগেই; কর্ম কর হে আদম
মহাকালের স্মরণ সভায় স্মরিত হবার যোগ্যতায়।
****
আজ ২১ মার্চ। বিশ্ব কবিতা দিবস।
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো “To give fresh recognition and impetus to national, regional and international poetry movements”– এই মর্মে ২১ মার্চ দিনটিকে World Poetry Day হিসাবে ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য হল পৃথিবীব্যাপী কবিতাপাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ইউনেসকোর অধিবেশনে এই দিনটিকে ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল– এই দিনটি বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলিকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।
আজকের কবিতাটি এই দিবসের প্রতি উৎসর্গিত
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৬