এমন কাঁচভাঙ্গা রোদেলা দুপুরে
স্মৃতির উঁকি দেবার কথা না। মেঘমেদুর দিনেই না তাদের আনাগোনা।
অথচ যেন থ্রিডি মুভির মতো সব স্মৃতিরা হুড়মুড় করে নেচে যেতে লাগলো
বায়স্কোপের রিলের মতো একের পর এক... তরতাজা জীবন্ত অনুভবে।
কলেজে উঠেই হঠাৎ বড় হয়ে যা্ওয়া তরুনের মন
উচাটনতা সর্বমুখি- ভেতরের নায়ক জেগে উঠতে চায় নিত্য কল্পনায়
সব অসম্ভবকে সম্ভব করার দৃঢ়তা-তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া সব
অথচ তোর সামনে গেলেই কেমন মিইয়ে যেতাম।
সব সাজানো কথা গুলো এলামেলো হয়ে যেত
মুগ্ধতায় শুধু তাকিয়ে থাকা আর সব কিছুতে মাথা নাড়ানো
জানিস, সেদিন শিরিন খুব করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল
ঘরে ঢুকে তো অবাক। কেউ নেই। অমন খালি বাড়ীতে ডাকল কেন?
মনে মনে এত বীর আমি সত্যি ভীত হয়ে পড়ি। ওর ঘোর লাগা দৃষ্টি
আরও বেশি চমকে দেয়- সারাজীবন জেনে আসা লাজুক মেয়ের বদলে যাওয়া দেখেছি।
হিন্দি সিনেমাকে যেন পেছনে ফেলে সে জীবন নায়িকার ভুমিকায়
আমি পুতুলের মতো- প্রথম শিহরনে চমকিত, শিহরিত আবার সন্ত্রস্থও।
ওর শেষ আহবানে সাড়া না দিয়ে চিনেছি নারীর আরেক রুপ।
তোকে বলতে গিয়েও কতবার জবান যেন আটকে গেছে।
হয়তো খেয়াল করিসনি- আমার নিরবতাকে নপুংশকতায় ভেবে
কত অবহেলা, কত ভেংচি, কত উপহাস ইশারায়..করেছে ও।
আর তুইতো তখন দেবী আমার কাছে। কত নিভৃতে কত নিশ্চিন্তে
নির্ভরতায় পাশে থাকতিস।
একদিন বৃষ্টি মূখর দিনে যখন হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লি ঘরে
খুব চেয়েছিল মন- উজার করে দিতে আর নিতে সমপর্ণ করতে
সমর্পিত হতে। শিরিনোপাখ্যান এক সূক্ষ বাঁধা হয়ে বারবার ঠেকিয়ে রেখেছিল্
ওমা! এরপর যখন সব ভয় ডর ভুলে জেগে উঠল তরুন থেকে যুবক স্বরুপ
দেখি বেনারসী আর জড়োয়ায় ঢেকে তুই চলে যাচ্ছিস পরের ঘর।
লজ্জ্বার মাথা খেযে ছুটেছিলাম তোর শ্বশুর বাড়ী। একটিবার দেখার উন্মাদনা
সব বোধ-বুদ্ধি যেন বিলোপ করেছিল।
দেখলাম। জীবনে যেন এক মুহুর্তে যেন আবারও অনেক বড় -হয়ে গেলাম পরিণত।
তোর অসহায়ত্ব, তোর নতুন সর্ম্পকের দায় ছাপিয়েও
তোর দু’চোখে যে ভালবাসার ছায়া দেখেছি-তাতেই আমি ধণ্য হয়েছি।
নাইবা পেলাম দৈহিক সত্ত্বায় : তোর আত্মায় যে আমার নিবাস ।
কাছে এলে হয়তো মুছে যেত এ আবেগ
তেল চাল নুনের নিত্য হিসাবে।
সেই ভাল- কেবলই হৃদয়ে আছিস
চির কুমারী
অসূর্যস্পর্শা
চির তরুনী
প্রথম প্রেমের প্রথম নায়িকা হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০