১. আইনস্টাইন পরবর্তী সবচেয়ে প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃত স্টিফেন হকিং মাত্র ২১ বছর বয়সে 'মোটর নিউরন ডিজিস'-এ আক্রান্ত হন। ডাক্তার রা জানিয়েছিলেন বড় জোর ২-৪ বছর বেঁচে থাকবেন তিনি। তিনি পরলোকগমন করেন ৭৬ বছর বয়সে গত ১৪ই মার্চ। আমরা বিশ্বাসীরা যেটাকে 'স্রষ্টার ইচ্ছা' বলেই মনে করি। যদিও তিনি বলেছেন, "আসলে স্রষ্টা বলে কিছু নেই।" তিনি বিশ্বাস করতেন, the universe is governed by the laws of science(সূত্র - উইকিপিডিয়া)। কিন্তু তিনি নিজেই সেই বিজ্ঞানের আইনকে ভুল প্রমাণ করে প্রায় ৫০ বছরের বেশী অতিরিক্ত(!) বেঁচেছিলেন। যা কিনা এখনো আধুনিক বিজ্ঞানের ডাক্তারদের কাছেও বিস্ময়কর ও ব্যতিক্রম (Click This Link)
২. অবিশ্বাসীদের কথা অনুযায়ী স্রষ্টাকে নিজ থেকেই সম্মুখে এসে ঘোষণা দিতে হবে যে তিনি স্রষ্টা! এই পৃথিবী, ব্রহ্মান্ড, মহাকাশ কোন কিছুই তেনাদের বিশ্বাস করাতে পারছে না স্রষ্টা বলে কেউ একজন আছেন! মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরীফের সুরা আর রাহমানে ৩১ বার বলা হয়েছে, "অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?" এছাড়া আরো অনেক সুরা এবং অন্যান্য ধর্মেও স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়েছে।
৩. যদি সবকিছু বিজ্ঞানই হয় তাহলে স্টিফেন হকিং কীভাবে এত বছর বেঁচে ছিলেন? 'মিরাকল', 'প্রকৃতির খেয়াল', 'প্যারা নরমাল একটিভিটি' এসব স্বীকার করলেও অবিশ্বাসীরা স্রষ্টাকে স্বীকার করতে চায় না। যদি সবকিছু বিজ্ঞানই হয় তাহলে একই বিমান বিধ্বস্ত হলেও কীভাবে ৪৯ জন মারা যান, অথচ ২২ জন বেঁচে যান! ও, তেনাদের কেউ সামনের দিকে বসেছিলেন, কেউ জানালা ভেঙে বেরিয়েছিলেন! অভিজ্ঞ পাইলট কিংবা এটিসি কেন সেদিনই এত বিভ্রান্তিতে পড়বেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২৩