নকলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে তরুণী এক রোগীর অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ডাক্তার গা ঢাকা দিয়েছেন।
আর ইতিমধ্যে ওই ভিডিও ক্লিপটি এখন নকলার প্রায় সকল মোবাইল ব্যাবহারকারীদের হাতে হাতে পৌছে গেছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’ এ পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার নকলা উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার এবং উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কথিত ডাক্তার (নিজেকে ডাক্তার পরিচয়দানকারী) পরিতোষ চন্দ্র সাহা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং নকলা শহরের তার চেম্বারে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে।
বিষয়টি টের পেয়ে কে বা কারা প্রায় এক সপ্তাহ আগে ডাক্তারের চেম্বারের দরজার ফাঁকে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তার সেই অনৈতিক কার্যকলাপের দৃশ্য ধারণ করে। এরপর তা দ্রুত মোবাইলের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ওই দৃশ্যে দেখা যায়, পরিতোষ বোরখা পরিহিতা এক তরুণীকে চিকিৎসার নামে জড়িয়ে ধরে ধস্তাধস্তি করছে এবং তার বোরখা ও গায়ের জামা খোলার চেষ্টা করছেন। তরুণীটি তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তার হাত থেকে এ যাত্রায় বাঁচতে পারেনি।
প্রায় তিন মিনিটের ওই দৃশ্য দেখেই বোঝা যায় তিনি এভাবে অসংখ্য রোগীর শ্লীতাহানি করেছেন।
জানা গেছে, পরিতোষ কোনো মহিলা রোগী দেখলে ওই রোগীর সঙ্গে মা বা বোন থাকলে তাকেও বের করে দিয়ে দেখতেন।
এ বিষয়ে পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটিতে আছি। তাই ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা তা নিশ্চিত হতে পারছি না।’
এ বিষয়ে পরিতোষ বলেন, ‘একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রোগীটি আমার উপর ইচ্ছে করে পড়ে যায়। আমি তাকে জড়িয়ে ধরিনি।’
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন থেকে ওই ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় হলেও তিনি কোনো ভ্রক্ষেপ করেননি। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজনের সেল্টারে তিনি তার চেম্বারে চিকিৎসা করে আসছিলেন। তবে বুধবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে পরিতোষ গা-ঢাকা দেন।
অপরদিকে, ভিডিও ক্লিপটির ওই তরুণীর কোনো সন্ধান কেউ বলতে পারেনি। তবে কেউ কেই ধারণা করছে, তরুণীটি কোনো স্কুল অথবা কলেজের শিক্ষার্থী হবে এবং তার বাড়িও আশপাশের কোনো গ্রামে।