৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চলচ্চিত্রশিল্পী সালমান শাহ এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান সালমান শাহ। যার মৃত্যু আজও সবার কাছে রহস্যই রয়ে গেছে। ১৭ বছর পার হলেও তাঁকে ভোলেনি চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষ।
সালমান শাহ বাংলাদেশের ৯০ দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক। সালমান শাহ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সালে। বৃশ্চিক রাশির এই নায়কের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। তাঁর পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। যদিও তাঁর মুল নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, কিন্তু চলচ্চিত্র জীবনে তিনি সবার কাছে 'সালমান শাহ' বলেই পরিচিত ছিলেন। সালমান শাহ ১২ আগস্ট ১৯৯২ বিয়ে করেন, এবং তাঁর স্ত্রীর নাম সামিরা।
সালমান শাহ সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে তার অভিনীত গুটি কয়েক নাটক প্রচারিত হয়। সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ দর্শকের সামনে আসেন। জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
সালমান শাহ অভিনীত ছবিগুলো হচ্ছে- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (বিপরীতে মৌসুমী), তুমি আমার (শাবনূর), অন্তরে অন্তরে (মৌসুমী), কন্যাদান (লিমা), জীবন সংসার (শাবনূর), চাওয়া থেকে পাওয়া (শাবনূর), সুজন সখী (শাবনূর), বুকের ভেতর আগুন (শাবনূর), এই ঘর এই সংসার (বৃষ্টি), স্নেহ (মৌসুমী), বিচার হবে (শাবনূর), প্রেমযুদ্ধ (লিমা), মহামিলন (শাবনূর), তোমাকে চাই (শাবনূর), বিক্ষোভ (শাবনূর), আশা ভালোবাসা (শাবনাজ), মায়ের অধিকার (শাবনাজ), আঞ্জুমান (শাবনাজ), আনন্দ অশ্র“ (শাবনূর), সত্যের মৃত্যু নেই (শাহনাজ), প্রিয়জন (শিল্পী), শুধু তুমি (শ্যামা), স্বপ্নের পৃথিবী (শাবনূর), স্বপ্নের নায়ক (শাবনূর), দেনমোহর (শাবনূর) ও স্বপ্নের ঠিকানা (শাবনূর)।
টেলিভিশনেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন সালমান। সালমান শাহ অভিনীত টিভি নাটকগুলো হচ্ছে- পাথর সময়, ইতিকথা, আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন, স্বপ্নের পৃথিবী।
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই অকাল মৃত্যুবরণ করেছেন সালমান। তার মৃত্যু চলচ্চিত্র জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জনপ্রিয় এই নায়কের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি।