ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে মাওবাদী গেরিলাদের হামলায় নিহত আত্মীয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মহিলা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মাওবাদীদের হামলায় নিহত হন পুলিশে কর্মরত ওই নারীর দেবর। তিন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে নিহত দেবরের লাশ নিয়ে ফেরার পথে এ হামলার শিকার হন তিনি।
মুম্বাইয়ে এক মহিলা ফটো সাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনায় যখন ভারত জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি প্রকাশিত হলো।
ভারতের বেসরকারি নিউজ চ্যানেল এনডিটিভি জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে গারওয়াতে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
ভারতের ৭৫ নম্বর ন্যাশনাল হাইওয়েতে লাশবাহী গাড়িটি থামাতে বাধ্য করে তিন ব্যক্তি। তারা কোনো ডাকাত চক্রের সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। হামলাকারীরা লাশবাহী গাড়িতেই ধর্ষণ করে হতভাগী মহিলা পুলিশকে।
এ ছাড়া,তারা ওই পুলিশের দুই আত্মীয়ের মালামাল লুটপাট করেছে। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে অন্য যে সব গাড়ি চলাচল করেছে সেগুলিকেও থামিয়ে ডাকাতি করে হামলাকারীরা।
ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলা সদর দফতরের ৫ থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে । কয়েক বছর আগে মাওবাদী গেরিলাদের হামলায় স্বামী নিহত হওয়ার পর এ মহিলাকে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি দিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার।
এদিকে, ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় চলে গেলেও পুলিশ এখনো দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। অবশ্য পুলিশ সূত্র থেকে সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানানো হয়েছে।
বলিউডসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নির্মিত সিনেমায় অবাধ যৌনাচার ও সহিংসতার যেসব দৃশ্য দেখানো হয় তার কারণে দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনোবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালগুলোতে যৌনতার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে শুধু আইন প্রয়োগ করে ধর্ষণ থামানো কঠিন হবে।#